ডোকলাম নিয়ে পাক রাষ্ট্রদূতের তৎপরতাকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না দিল্লি। —ফাইল চিত্র।
সীমান্তে ভারত আর চিনের টানাপড়েনের মধ্যেই নতুন খেলা পাকিস্তানের। দিল্লিতেই চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার আবদুল বাসিত। ডোকলাম নিয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেই ক্ষান্ত হননি বাসিত। ভারতে নিযুক্ত ভুটানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানি কূটনীতিকের এই তৎপরতার দিকে সতর্ক নজর রাখছে বলে নয়াদিল্লি সূত্রের খবর।
দিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই-এর সঙ্গে পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিতের বৈঠক বুধবার হয়েছে। বাসিতই চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে গিয়েছিলেন। ডোকলামে ভারত-ভুটান-চিন ত্রিদেশীয় সীমান্তে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী যখন পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে, তখন ভারতে নিযুক্ত চিনা এবং পাক রাষ্ট্রদূতরা দিল্লিতে পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করায় স্বাভাবিক ভাবেই সাউথ ব্লকের ভ্রূকুটি বেড়েছে। পরিস্থিতির উপর তাই সব সময় নজর রাখা হচ্ছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর।
শুধু চিনা রাষ্ট্রদূত নন, ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কিন্তু দেখা করেছেন দিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার। ভুটানের তরফে এই বৈঠক নিয়ে তেমন উৎসাহ ছিল না। কিন্তু দিল্লির পাক হাইকমিশনের অনুরোধেই আবদুল বাসিতের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন ভারতে নিযুক্ত ভুটানি রাষ্ট্রদূত ভেসটপ নামগিয়েল। বৃহস্পতিবার এই বৈঠক হয়েছে। সেখানেও ডোকলাম নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
ডোকলাম ইস্যু নিয়ে ভুটান এবং চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না ভারত। কিন্তু চিন কৌশলে তাদের মিত্র পাকিস্তানকে এই বিতর্কে জড়িয়ে নেওয়ার পথ খুঁজছে। —প্রতীকী ছবি।
ভারত, ভুটান এবং চিন— ডোকলামের পরিস্থিতি এই তিন দেশের বিষয়। এর মধ্যে পাকিস্তানের নাক গলানো মোটেই বরদাস্ত করবে না ভারত। কিন্তু ভারত-চিন টানাপড়েনের মধ্যে পাকিস্তানকে জড়িয়ে নিতে বেজিং তৎপর। ভারতীয় সেনাই সীমান্ত পেরিয়ে চিনা এলাকায় ঢুকেছে বলে বেজিঙের দাবি। চিনা সংবাদমাধ্যমের হুঁশিয়ারি— ভুটানের অনুরোধে ভারত যদি চিনা এলাকায় ঢোকে, তা হলে পাকিস্তানের অনুরোধে চিনা সেনা কাশ্মীরে ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে: চিনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সুষমা
চিনের এই সব হুমকিতে ভারত গুরুত্ব দেয়নি ঠিকই। কিন্তু ডোকলাম ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারের তৎপরতাকে ভারত একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy