প্রতীকী ছবি।
যাত্রী বহন করুন বা পণ্য, এখন থেকে ট্যাক্সি, অটো-সহ থ্রি-হুইলার, ই-রিকশা বা বাইকের চালকদের আর কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক লাইসেন্সের নেওয়ার জন্য ছুটতে হবে না। চালক তাঁর ব্যক্তিগত লাইসেন্স ব্যবহার করেই বাণিজ্যিক কাজে নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একটি রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার সব রাজ্যে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যাত্রী ও পণ্য-সহ যে-সব হাল্কা গাড়ির ওজন ৭৫০০ কিলোগ্রামের মধ্যে থাকবে, তাদের বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিতে হবে না। তবে ট্রাক, বাস এবং অন্যান্য ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে আগের মতোই বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকছে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকদের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় পরিবহণ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়বে। বিভিন্ন সংস্থায় খাবার, আনাজ মাছ-মাংস সরবরাহের কাজে যুক্ত হতে পারবেন অনেকে। বাণিজ্যিক লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি দূর হওয়ায় জটিলতা আর দুর্নীতি কমবে। তবে আধিকারিকদের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে জন-পরিবহণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। যদিও পরিবহণ বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, রাস্তায় অটো, ট্যাক্সি বা বাইকের সংখ্যা বাড়লে মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করার প্রবণতা কমবে।
কেউ কেউ মনে করছেন, এতে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত হবে। কয়েকটি সংস্থা রেস্তরাঁর খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাপ-নির্ভর বাইক পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। নতুন নির্দেশের ফলে তাদের সুবিধে হবে।
এ দিনই রাজ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশের প্রতিলিপি এসে পৌঁছেছে। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, মোটরযান আইনটি কেন্দ্রের। রাজ্যকে ওই আইন মেনে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy