Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পদ হারাতে পারেন ২০ আপ বিধায়ক

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা থেকে নিয়মমাফিক সর্ব্বোচ্চ ৭ জন মন্ত্রী হতে পারেন। অভিযোগ, সেই কারণেই যাঁদের মন্ত্রী পদ দেওয়া সম্ভব হয়নি, তেমন ২১ বিধায়ককে বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিবের মর্যাদা দিয়ে ঘুরপথে ক্ষমতার স্বাদ পাইয়ে দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৩:২৮
Share: Save:

লাভজনক পদ বিতর্কে আম আদমি পার্টির ২০ বিধায়ককে ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। আগামী সপ্তাহে কমিশনে বিষয়টির ফের শুনানি রয়েছে। রায় বিপক্ষে গেলে ওই ২০ জনই বিধায়ক পদ হারাবেন। সে ক্ষেত্রে দিল্লি বিধানসভার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আসনে নতুন করে নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হবে ভেবে এখন থেকেই আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি।

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা থেকে নিয়মমাফিক সর্ব্বোচ্চ ৭ জন মন্ত্রী হতে পারেন। অভিযোগ, সেই কারণেই যাঁদের মন্ত্রী পদ দেওয়া সম্ভব হয়নি, তেমন ২১ বিধায়ককে বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিবের মর্যাদা দিয়ে ঘুরপথে ক্ষমতার স্বাদ পাইয়ে দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ওই বিধায়কদের পরিষদীয় সচিবের সুবিধে দিতে দিল্লি বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন প্রণববাবু। অভিযোগ ওঠে, আপ বিধায়কেরা একই সঙ্গে বিধায়ক ও পরিষদীয় সচিবের সুযোগ-সুবিধে নিচ্ছেন। বিষয়টিতে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে প্রথমে নির্বাচন কমিশন ২১ জন বিধায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। তবে ইতিমধ্যে রজৌরি গার্ডেনের বিধায়ক জার্নেল সিংহ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় তাঁকে ছাড় দিয়েছে কমিশন। ফলে এই মুহূর্তে ২০ জন আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে লাভজনক পদে থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিষদীয় সচিব হিসেবে বিধায়কদের নিয়োগ বাতিল করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সূত্র ধরেই আপ নেতারা নির্বাচন কমিশনকে বলেন, যে পদগুলি ঘিরে বিতর্ক, সেগুলিই বাতিল হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও ধোপে টিকছে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধায়কেরা পরিষদীয় সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে লাভজনক পদ বিতর্কে তাঁদের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের পদ ছাড়তে হবে। নতুন করে নির্বাচন হবে দিল্লিতে। তবে রাষ্ট্রপতি ভোটের আগে যদি এ বিষয়ে কমিশনের কোনও চূড়ান্ত রায় না আসে, তা হলে ওই বিধায়কেরা বাকিদের মতোই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE