সেই জুতো। ছবি: সংগৃহীত।
বছর সতেরোর সিদ্ধার্থের মনে নির্ভয়া কাণ্ড গভীর ভাবে রেখাপাত করে গিয়েছিল। প্রতিনিয়ত মহিলাদের উপর অত্যাচার, রাস্তাঘাটে ইভটিজিং আর ধর্ষণের ঘটনা আর কোনও ভাবে সহ্য হচ্ছিল না তার। ধর্ষণ কী ভাবে বন্ধ করা যায়? কী হতে পারে মহিলাদের আত্মরক্ষার হাতিয়ার? মাথায় সর্বক্ষণ এই ভাবনা ঘুরপাক খেত। আর সেই ভাবনা থেকেই এক বিশেষ ধরনের জুতো তৈরি করে ফেলল তেলঙ্গানার সিদ্ধার্থ। তাঁর দাবি, এই জুতো মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। নাম ‘ইলেক্ট্রো শু’।
কী ভাবে কাজ করবে এই অভিনব জুতো?
সিদ্ধার্থ জানিয়েছে, এই জুতোর পিছনে রয়েছে স্কুলে পড়া পদার্থবিদ্যা এবং কিছু বেসিক কোডিং-এর জাদু। জুতোতে রয়েছে একটি বিশেষ ধরনের সার্কিট বোর্ড। যেখানে থাকছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। হাঁটার উপর নির্ভর করবে এর চার্জিং প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, এই জুতো পরে যত বেশি হাঁটা হবে, তত বেশি চার্জ থাকবে ব্যাটারিতে। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় একে বলে ‘পিয়েজোইলেক্ট্রিক এফেক্ট’।
আরও পড়ুন: অরুন্ধতীকেই সেনা জিপে বেঁধে ঘোরানো উচিত: বিতর্কে পরেশ রাওয়াল
কেউ আক্রমণ করতে এলে, জুতো পরা পা’টি শুধু আক্রমণকারীর শরীরে স্পর্শ করাতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণকারীর শরীরে ছড়িয়ে পড়বে ০.১ এএমপি তড়িৎ প্রবাহ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাবেন আক্রমণকারী। এবং সঙ্গে সঙ্গেই খবর পৌঁছে যাবে কাছাকাছি থানা এবং আক্রান্তের পরিবারের কাছে।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সিদ্ধার্থ ইতিমধ্যেই এই জুতোর নকশার স্বত্বের জন্য আবেদন করে ফেলেছে। তবে বাজারে ছাড়ার আগে এই জুতো কতটা টেকসই হবে, তা সে যাচাই করে নিতে চায়৷ ইতিমধ্যে অনেকগুলি জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলতেও শুরু করেছে সে। জুতোটিকে আকর্ষণীয় করতে তুলতে প্রয়োজনে নকশায় অদল-বদল করতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে সিদ্ধার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy