পসরা: ঝুড়ি নিয়ে বাজারের পথে। মেদিনীপুরে। ছবি: কিংশুক আইচ
পাশাপাশি চার রাজ্যে একসঙ্গেই হাতিসুমারি শুরু হবে আগামী মে মাসে। ৯-১২ মে হাতি গণনার কাজ চলবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ে। ভারত সরকারের অধীন ‘প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট’-এর উদ্যোগে চলবে কাজ। ২০১০ সালে শেষ হাতিসুমারি হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে হাতিসুমারির কাজ কী ভাবে হবে তা নিয়ে সম্প্রতি জেলার বন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে কলকাতার বিকাশ ভবনে।
বন দফতর সূত্রে খবর, হাতিসুমারির কাজে বনকর্মীদের পাশাপাশি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এমনকী সাধারণ মানুষও যোগ দিতে পারবে। তবে তাদের ‘বন্ড’ দিতে হবে। কর্মশালা করে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। তারপর ৩-৪ জনের একটি দল গড়ে জঙ্গলে পাঠানো হবে। প্রতি পাঁচ বর্গ কিলোমিটা এলাকার জন্য একটি দল গঠন করা হবে। ৯ মে হাতিসুমারি শুরুর প্রথম দিনই দলের সদস্যদের হাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হবে। ১০ ই মে তারা জঙ্গলে যাবে। প্রথম দিন হবে ‘এলিফ্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপিং’ অর্থাৎ জঙ্গলের মধ্য ঢুকে দূরবীনের সাহায্য হাতির অবস্থান দেখা, গণনা করা এবং হাতির ছবি তোলা। দ্বিতীয় দিন হবে ‘ফিক্সড্ স্পট সাইটিং’। এই পর্যায়ে জঙ্গলের যে সব জলাশয়ে হাতি জল খেতে আসে, সেখানে গণনা ও ছবি তোলার কাজ হবে। শেষ পর্যায়ে হবে ‘ডাঙ্গ কাউন্টিং মেথড’। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতির মলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত তথ্য, ছবি ও মলের নমুমা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করে হাতির সংখ্যা জানাবেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১০ সালের শেষ সুমারি অনুযায়ী পুরুলিয়ায় ১২টি, বাঁকুড়া উত্তরে ১৫টি বিষ্ণুপুরে ৪টি, রূপনারায়ণ বিভাগে একটি, মেদিনীপুর বিভাগে ৭৭টি, খড়গপুরে ৩টি ও ঝাড়গ্রামে ৬টি হাতির খোঁজ মিলেছিল। হাতিসুমারির মেদিনীপুর জোনের নোডাল অফিসার তথা মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘হাতিসুমারির মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভিশনে এই মুহূর্তে হাতির সংখ্যা জানা যাবে। এতে আমাদের কাজের অনেক সুবিধে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy