রামনাথ কোবিন্দ। —ফাইল চিত্র।
সংখ্যালঘু ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের মূল সুর তুলে ধরলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বুঝিয়ে দিলেন, তোষণ নয়, সংখ্যালঘু শ্রেণির ক্ষমতায়নই নরেন্দ্র মোদী সরকারের মূল মন্ত্র। পাশাপাশি কৃষক কল্যাণের বিষয়টি যে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে, তাও স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে এ বছরের বাজেট অধিবেশন। প্রথামাফিক এ দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় যৌথ অধিবেশন। তাঁর ভাষণে কৃষিক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের নীতি এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে ২৭৫ মিলিয়ন টনের রেকর্ড পরিমান খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।’’
পাশাপাশি সমাজের দুর্বল অংশের উন্নয়নের দিকটা গুরুত্ব পায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে। এ প্রসঙ্গে বি আর অম্বেডকরের কথা উঠে আসে তাঁর ভাষণে। রাষ্ট্রপতি কথায়, ‘‘আমাদের সংবিধানের মূল কারিগর অম্বেডকর বলেছিলেন সামাজিক ও আর্থিক গণতন্ত্র ছাড়া রাজনৈতিক গণতন্ত্র সম্ভব নয়। সংবিধানের এই মৌলিক দিকটার কথা মাথায় রেখে সমাজের দুর্বল অংশের উন্নয়নে জন্য দায়বদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আর্থিক গণতন্ত্রকে জোরদার করতে সচেষ্ট সরকার। যাতে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ নয়।’’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ: জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭-৭.৫ শতাংশ
একই সঙ্গে, তিন তালাক বিল শীঘ্রই পাশ হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিলটি পাশ হলে মুসলিম সমাজের মহিলাদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’’ তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের অধিকাংশ গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সরকার। পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করাই যে সরকারের লক্ষ্য তা বোঝাতে গত ১ বছরে দেশের সাড়ে তিন লাখ সন্দেহজনক কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে বলে এ দিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy