ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে সেনা অভিযান বন্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেখানে শান্তি প্রক্রিয়ার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। ঠিক তখনই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান আসাদ দুরানি জানালেন, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত পাকিস্তানের মদতেই তৈরি সংগঠন।
ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর প্রাক্তন প্রধান এ এস দুলাতের কাশ্মীর নিয়ে লেখা বইয়ের জেরে আলোড়ন হয়েছিল বিস্তর। এ বার তাঁর সঙ্গে আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান দুরানির কথোপকথনের ভিত্তিতে লেখা ‘স্পাই ক্রনিকলস, র আইএসআই অ্যান্ড দ্য ইলিউশন অব পিস’ বইয়েও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। দুরানি জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিলেও ওই সন্ত্রাস কত দিন চলবে তা বুঝতে পারেনি আইএসআই। ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলির উপরে প্রভাব খাটানোর ক্ষেত্রেও অনেকটা ব্যর্থ হয়েছিল তারা। আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিতে হুরিয়ত কনফারেন্স গঠনে মদত দেওয়া সঠিক পদক্ষেপই ছিল বলে মনে করেন দুরানি। কিন্তু তার পরে হুরিয়তের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উপত্যকায় কার্যত ‘যা খুশি তাই করতে দেওয়া’ ঠিক হয়নি বলে মত প্রাক্তন আইএসআই প্রধানের। তবে হুরিয়ত সম্পর্কে দুরানির বক্তব্য পুরোপুরি মানতে রাজি নন দুলাত। তাঁর মতে, হুরিয়ত এখনও পুরোপুরি ‘পাকিস্তানি টিম’। কাশ্মীরিরা ভারতীয় ও পাকিস্তানি টিমের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছেন।
দুই প্রাক্তন গুপ্তচর প্রধানের কথোপকথনে উঠে এসেছে পাকিস্তানে ধৃত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবের প্রসঙ্গও। আর প্রাক্তন আইএসআই প্রধান জানিয়েছেন, পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলাকারীদের সঙ্গে পাক সরকারের যোগ খুঁজছিল ভারত। তাই কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান বোঝাতে চেয়েছিল, বালুচিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপে ভারত অনেক দিন ধরেই মদত দিয়ে আসছে। তবে দুই প্রাক্তন গুপ্তচর প্রধানেরই দাবি, কুলভূষণের গ্রেফতারি নিয়ে আরও গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত ছিল দু’দেশের। দুলাতের কথায়, ‘‘কার্গিল যুদ্ধের সময়ে জেনারেল পারভেজ মুশারফের গোপনে টেপ করা বক্তব্য প্রকাশ করে ভারত মস্ত বড় ভুল করেছিল।’’
আরও পড়ুন: গ্রামজয়ে মোদী, অমিতের সাত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy