উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভবনের সামনে রাস্তায় তখনও পড়ে আলু। ছবি: এবিপি নিউজের সৌজন্যে।
শনিবার সকাল। লখনউয়ে ঢুকল আলু ভর্তি একটি ট্রাক। তার পরেই শুরু হল আলু ছোড়া। বিধানসভা ভবন, রাজ ভবন, কালিদাস মার্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে ছোড়া হল আলু। রাস্তা সাফ করতে রীতিমতো দল নামাতে হল প্রশাসনকে। গাড়ির চাকায় চেপ্টে যাওয়া আলুতে যাতে মোটরবাইক আর সাইকেল আরোহীরা হড়কে না পড়েন সে জন্য ছ়়ড়ানো হল মাটিও।
কিন্তু এ হেন কাণ্ড করল কারা? কারণই বা কী?
লখনউ পুলিশের সিনিয়র সুপার দীপক কুমার মেনে নিয়েছেন, এক দল চাষিই আলু ছুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
বিক্ষোভকারীরা সাফ জানাচ্ছেন, বাজারে কুইন্টাল প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা দর যাচ্ছে। চাষিদের প্রয়োজন অন্তত কুইন্টাল প্রতি ১০ টাকা। বার বার সরকারকে সমস্যার কথা জানিয়েও ফল হয়নি। তাই এই ‘শান্তিপূর্ণ’ বিক্ষোভ। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা হরনাম সিংহ বর্মার কথায়, ‘‘চাষিরা শস্যের উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না। শস্য কোথায় জমিয়ে রাখা যায় তাও তাঁরা জানেন না। রাজ্য সরকার চাষিদের স্বার্থরক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।’’ প্রায় একই সুর বিরোধী সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টির। তাদের দাবি, এতে কোনও রাজনৈতিক দলেরই হাত নেই। চাষিরাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যা পরিস্থিতি তাতে যদি আখচাষিরাও রাস্তায় শস্য ফেলে বিক্ষোভ দেখান তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
যোগী আদিত্যনাথ ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কিন্তু ‘গভীর চক্রান্ত’-এর গন্ধ পাচ্ছেন। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সূর্যপ্রতাপ শাহির কথায়, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকার আলু চাষি-সহ সব কৃষকের স্বার্থরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।’’ বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ঘটনার পিছনে কারা আছে তা জানতে তদন্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy