অরুণ জেটলির অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে কোমর বেঁধে নেমেছে শিল্পমহলের একাংশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। কিডনির অসুখ ও সংক্রমণে অসুস্থ জেটলি আজ সন্ধ্যায় দিল্লির এইমসে ভর্তি হয়েছেন। কাল তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাঁকে প্রায় তিন মাস সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। এর আগে সুষমা স্বরাজের যখন কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল, তখন তাঁকে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে সরাননি মোদী। কিন্তু শিল্পমহলের একাংশ চাইছে জেটলিকে সরানো হোক, এবং পাকাপাকি ভাবেই।
সূত্রের খবর, এই দাবির পিছনে রয়েছে টেলিযোগাযোগ দুই শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। মোবাইলের কল-রেট, ডেটা-প্ল্যান নিয়ে তাদের মধ্যে বহু দিন ধরেই বিবাদ চলেছে। আর তাতে জেটলির ভূমিকায় অখুশি শিল্পমহলের একাংশ। শিল্পমহলের কারও কারও মতে, একটি সংস্থা যে ভাবে যথেচ্ছ হারে মোবাইলের কল-রেট কমিয়ে দিচ্ছে, তাতে বাকিদের ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ শিল্পও বিপদে পড়তে পারে। জেটলিও সেই মতের শরিক বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে জেটলির পাঠানো একটি নোট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে ভোডাফোন-সহ বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে বিদেশে চলা মামলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেটলি বলেছেন, ওই সংস্থাগুলির কাছে কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকা পাওনা। তাই বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় জরুরি। সরকারের একাংশের যুক্তি, জেটলির অনুপস্থিতিতে অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়াই কাজ সামলে নিতে পারবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন। কিন্তু জেটলিকে সরাতে মরিয়া শিল্পমহলের ওই অংশের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এক জন মন্ত্রীর অবশ্যই প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy