প্রতীকী ছবি।
মেট্রো করে অফিস যাচ্ছেন। হঠাৎই তা উল্টো দিকে চলতে শুরু করল। অথবা, রানওয়ের শুরুতে না নেমে একেবারে শেষ নামল বিমান। এর পর সজোরে ধাক্কা খেল দেওয়ালে। ভাবুন তো, এমনটা হলে কী অবস্থা হবে?
ডিজিটাল যুগে মেট্রো, বিমানবন্দর, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক বা পরিবহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। তবে হ্যাকারদের হানায় এই নেটওয়ার্কের গতিপ্রকৃতি বিগড়ে গেলে ঘটতে পারে বহু অঘটন। বিপর্যস্ত হতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাপন। থমকে যেতে পারে একটা গোটা দেশের কাজকারবার। এ ধরনের বিপত্তি রুখতে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মেট্রো, বিমানবন্দর, ব্যাঙ্ক বা পরিবহণের মতো একাধিক নেটওয়ার্কের দুর্বলতা খুঁজে বার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের একাধিক হ্যাকারকে। আয়োজন করা হয়েছে ‘হ্যাকাথন’-এর। আগামী ২০ নভেম্বর তার আসর বসবে নয়াদিল্লিতে। সেই প্রতিযোগিতায় বিজেতাদের পুরস্কৃতও করা হবে।
বিষয়টা ঠিক কী?
সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে মধ্য দিল্লিতে ‘গ্লোবাল কনফারেন্স অন সাইবার স্পেস’ (জিসিসিএস) ২০১৭–এর মেলা বসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিসিসিএস-এর উদ্বোধন করবেন। ওই মেলারই অঙ্গ হিসেবে আগামী সপ্তাহে হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে এথিক্যাল হ্যাকারেরা মেট্রো রেল, ট্রেন, বিমানবন্দর, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক বা পরিবহণের মতো একাধিক পরিবেষা নিয়ন্ত্রণ করে এমন ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক-এ হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করবেন। স্ক্যামার, স্প্যামার-এর মতো সাইবার ভিলেনদের রুখতে নানা উপায় খুঁজে বার করবেন ১২০টি দেশের এথিক্যাল হ্যাকারেরা।
আরও পড়ুন
ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই নেই ১৮ মাসের শিশুরও
মুগাবেকে ‘ক্ষমতায় রেখেই’ জিম্বাবোয়েতে সেনা অভ্যুত্থান
আস্ত একটা দেশের ‘মালিক’ এই ভারতীয়!
কিন্তু কেন? ওই শীর্ষ কর্তার মতে, “হ্যাকারেরা যদি নেটওয়ার্কের দখল নিতে পারে, তবে আমাদেরই সুবিধা হবে। কারণ, ওই নেটওয়ার্কের খুঁতগুলো শুধরে তা আরও শক্তিশালী করতে পাবব আমরা।” আগামী দিনে ডিজিটাল ভারতে একশোরও বেশি স্মার্ট সিটি গড়ে উঠবে। সেগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে। ফলে তার ডিজিটাল ব্যবস্থাকে সাইবার হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি বলে মনে করে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy