গুজরাত থেকেই যে স্লোগানগুলি গোটা দেশে ছড়িয়েছিলেন, সে রাজ্যের ভোটেই তার অপমৃত্যু হল।
‘গুজরাত মডেল’, ‘অচ্ছে দিন’, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকার’, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ই এই স্লোগানগুলি প্রায়ই শোনা যেত নরেন্দ্র মোদীর মুখে। লোকসভা ভোটের সময়ে এই স্লোগানগুলিকেই হাতিয়ার করে গোটা দেশ দাপিয়েছিলেন তিনি। গুজরাত ভোটের প্রচার শেষ হল। ত্রিশটির বেশি সভা করলেও মোদীর মুখ থেকে এই শব্দগুলি শোনা গেল না। কংগ্রেস বলছে, সৌজন্যে রাহুল গাঁধী।
রাহুল আজ নিজেই বলেন, ‘‘গোটা প্রচারে দুর্নীতি নিয়ে একটিও কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী। কেন জানেন? কারণ, বললেই তাঁকে অমিত শাহের ছেলে জয় ও রাফাল চুক্তির দুর্নীতি নিয়ে বলতে হতো।’’ কংগ্রেসের নেতাদের মতে, আসলে গুজরাতের প্রচারের শুরুতেই ‘উন্নয়ন পাগল’ হয়ে গিয়েছে বলে প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন মোদীর ‘গুজরাত মডেল’ নিয়েই। সে কারণে গোটা প্রচারে সেই শব্দ উচ্চারণ করেননি। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানও উধাও। আর ‘অচ্ছে দিন’ বলে যে নিজেই ফেঁসেছেন, সে কথা মোদী স্বীকার করেছেন। মন্ত্রিসভায় মোদীর সতীর্থ নিতিন গডকড়ীই মোদীর সঙ্গে সেই ঘরোয়া কথা ফাঁস করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিন বছর সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মোদী ও তাঁর সেনাপতিরা যে বিষয়টি নিয়ে সবথেকে বেশি বড়াই করেছেন, সেটি হল ‘দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন’ দেওয়া। কিন্তু নিজের রাজ্যের ভোটেই তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেন না। মোদী সরকারের মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মন্তব্য, ‘‘বার বার বলা হচ্ছে, আমরা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছি না। বলছি না, কারণ আমরা দুর্নীতি করি না। মনমোহন সিংহ সরকারই দুর্নীতি করার জন্য কুখ্যাত। আজও সামনে এসেছে কী ভাবে রাহুল গাঁধী মনমোহন জমানায় তাঁর মন্ত্রীদের নির্দেশ দিতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy