চাপের মুখে সাহসী মুখ করে ৭০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও নিজেদের ভয়কেই প্রকাশ করে ফেলল নরেন্দ্র মোদীর দল।
আজই সন্ধ্যায় গুজরাতের প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে দশ জনপথে বৈঠকে বসে কংগ্রেস। তার আগে আহমেদ পটেলের বাড়িতেও আলাদা বৈঠক হয়। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা দু’দিন আগেই গুজরাতের প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠক সেরে ফেলেছেন। কিন্তু নাম ঘোষণার আগে অপেক্ষা করছিলেন কংগ্রেসের জন্য। প্রশ্ন ওঠে, মোদীর রাজ্যে ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিজেপিকে? চাপের মুখে তাই সনিয়াদের বৈঠকের আগেই আজ সকালে ৭০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। কিন্তু সেগুলি এমন আসন, যেখানে বিজেপির মতে জয় ‘নিশ্চিত’। হার্দিক পটেল, অল্পেশ ঠাকুরের প্রভাব রয়েছে, এমন ‘অনিশ্চিত’ আসনগুলির প্রার্থী ঘোষণা এড়িয়েই গেল বিজেপি। কংগ্রেসও বৈঠক শেষে জানায়, দু’দিনের মধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। তাদের যুক্তি, জেডি(ইউ)-এনসিপি-র সঙ্গে পাকা কথার পর আসন ঘোষণা হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিবিরে যেতে চান প্রণব
বিজেপির এক সূত্রের মতে, হার্দিক পটেলের সহযোগীরা আজই দিল্লিতে এসেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে রফা চূড়ান্ত করতে। রফার পরে এই সব এলাকায় কংগ্রেস কাদের প্রার্থী করে, তার উপরেও বিজেপির সমীকরণ নির্ভর করছে। অমিত শাহ গত কালই পৌঁছে গিয়েছেন গুজরাতে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে নতুন করে। অতীতে মোদী গুজরাতে প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রার্থী বদল করতেন। কিন্তু হার্দিক, অল্পেশ, জিগ্নেশ মেবাণীদের দাপটের আবহে টিকিট না পেয়ে বিজেপির লোকেরা যাতে বিক্ষুব্ধ না-হয়ে যান, তাই আজকের তালিকায় এক জন ছাড়া কাউকে বদলানো হয়নি। উল্টে জাত-পাতের সমীকরণ মাথায় রেখে ১৫ জন পটেল, ১৮ জন ওবিসি, ১৪ জন তফসিলি জাতি-উপজাতির প্রার্থীকে রাখা হল। আর রাজ্যসভা ভোটের সময় আহমেদ পটেলকে বেগ দিতে যে কংগ্রেস নেতারা সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের পাঁচ জনকেও টিকিট দিলেন মোদী।
কংগ্রেস বলছে— রাজ্যের ১৮২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৭০টির প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি, যার মধ্যে ১২টির ভোট হবে আবার দ্বিতীয় দফায়। যার অর্থ, প্রথম দফার ৮৯টি আসনের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসনে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারল না বিজেপি। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীর মতো কয়েক জনের আসন ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, কতটা ভয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। বিজেপি অবশ্য বলছে, ভয়ের কোনও কারণ নেই। খোদ প্রধানমন্ত্রীই দলকে জানিয়েছেন— বিরোধীরা যতই তৎপরতা দেখাক, গুজরাত তাঁর হাতের মুঠোতেই রয়েছে। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy