আহমেদ পটেল, মণিশঙ্কর আইয়ার এবং মনমোহন সিংহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ যাঁদের দিকে।
বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের আহমেদ পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হস্তক্ষেপ করছে পাকিস্তান। রবিবার এমনই অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চিরতার্থ করতে এমন মিথ্যা কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’ মোদীর মন্তব্যে তিনি যে দুঃখিত এবং শোকাহত সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, এ দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বার্তা, ভারত যেন তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে ইসলামাবাদকে দূরে রাখে।
পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাতিয়ার করেছিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে গোপন বৈঠক প্রসঙ্গ। মোদীর দাবি ছিল, মণিশঙ্করের বাড়িতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি ‘গোপন’ বৈঠকে বসেছিলেন পাক রাষ্ট্রদূত ও সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির সঙ্গে।
পাক সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীতে কাজ করেছেন, এমন ব্যক্তি পটেলকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। সেই লক্ষ্যেই ওই গোপন বৈঠক। অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন পাক বিদেশ মন্ত্রকের জবাব, ‘এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। এটি সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। ভারতের নির্বাচনী বিতর্কে পাকিস্তানকে টানা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত ভারতের।’
আরও পড়ুন: গুজরাতে পাক ছক দেখছেন মোদী
পাশাপাশি, আইয়ারের বাড়িতে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রাক্তন সেনাপ্রধান দীপক কপূরের এক মন্তব্য বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল। গত ৬ ডিসেম্বরের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কপূর। এ দিন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে জানিয়েছেন, আইয়ারের বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু, সেখানে ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। গুজরাত বা অন্য কোনও নির্বাচন নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনও কথা হয়নি।বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের স্পষ্ট বার্তা, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy