প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র ধাক্কা খাওয়া অব্যাহত রইল পুরসভার ভোটেও। রাজ্যের ২৮টি জেলার ৭৫টি পুরসভার মধ্যে ৪৭টিতে জিতল বিজেপি। যদিও শেষ বার, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই ৭৫টির মধ্যে ৬০টি ছিল গেরুয়া শিবিরের দখলে। পরবর্তীতে আরও ছ’টি পুরসভা নিজেদের দখলে নেয় বিজেপি। সেই হিসেবে এ বারের ভোটে ৬৬ থেকে এক ধাক্কায় ৪৭-এ নেমে এল তারা।
ফলে, পুর ভোটে কিছুটা অক্সিজেন পেল রাহুল ব্রিগেড। গত বার এই ৭৫টি পুরসভার মধ্যে মাত্র ১১টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। পরে সেখান থেকে ছ’টি চলে গিয়েছিল বিজেপি-র দখলে। অর্থাৎ এ বারের ভোটের আগে মাত্র পাঁচটি পুরসভা ছিল তাদের দখলে। সেই সংখ্যাটি এ বার বেড়ে দাঁড়াল ১৬-য়। সোমবার গণনার পর দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস-বিজেপি ছাড়া ৭৫টি পুরসভার মধ্যে ৬টি গিয়েছে অন্যান্যদের দখলে। আর ৬টি পুরসভা ত্রিশঙ্কু।
গত বিধানসভা ভোটে গ্রামাঞ্চলে কিছুটা ধাক্কা খেলেও তা শহরাঞ্চলে সামলে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, পুরসভা ভোটে সেই শহরই কিছুটা ধাক্কা মোদী-শাহদের। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে যা নিসন্দেহে অক্সিজেন জোগাবে বিরোধীদের, মত রাজনৈতিক মহলের। তবে এক ধাক্কায় ১৯টি পুরসভা হাতছাড়া হলেও বিজেপিকে কিছুটা স্বস্তির দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নিজের শহর ভডনগর। বিধানসভায় এই ভডনগরে বিজেপি-র দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন ভোটাররা। যদিও পুর ভোটে সেই ভডনগর দখল করল তারা। এ ছাড়াও খেড়া জেলার করমসাদ পুরসভা, জামনগর জেলার জামজোধপুরের মতো পুরসভা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে।
আরও পড়ুন: আচরণে বুঝিয়ে দেবেন না আপনি দোষী, মোদীকে খোঁচা রাহুলের
গুজরাতের ২৮ জেলার ৭৫টি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে জাফরাবাদ পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় বিজেপি। ৭৫টি পুরসভা ছাড়াও এ দিন দু’টি জেলা পঞ্চায়েত, ১৭টি তালুকা ও ১,৪০০ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হয়। গত শনিবার গুজরাতে এ বারের পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। দাহোদে সর্বোচ্চ ৭৬.৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে এবং রাজকোটে সর্বনিম্ন ৫০.১৭ শতাংশ ভোট পড়ে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে আটক জিগ্নেশ, পরে মুক্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy