Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sunaria Jail

‘বাবা’ নয়, তার পরিচয় এখন কয়েদি নম্বর ৮৬৪৭

সুনারিয়া জেলে রয়েছে আট জন গ্যাংস্টার আর পঞ্চাশ জন দাগী অপরাধী। নিরাপত্তার জন্য পৃথক একটি সেলে রাখা হয়েছে ‘বাবা’কে। খাবারও মাপা। পাউরুটি আর চায়ে সারতে হবে প্রাতরাশ।

গুরমিত রাম রহিম।

গুরমিত রাম রহিম।

সংবাদ সংস্থা
রোহতক শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:৩৮
Share: Save:

কয়েদি নম্বর ৮৬৪৭।

এটাই আপাতত ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংহের পরিচয়।

স্থান, রোহতক। সুনারিয়া জেল। চার দিন কেটে গিয়েছে। জেল সূত্রের খবর, এখনও নিজের নয়া ‘পরিচয়’ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি ‘বাবা’। কেবল, জেলে থাকাই নয়, মালির কাজ করে দিন কাটছে ধর্ষক ‘বাবা’ র। আয় দৈনিক ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন: তল্লাশিতে কী মিলল ‘বাবা’র গুপ্ত ঘরে? দেখে নিন

অভিযোগ উঠেছিল, জেলেও বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন গুরমিত। তাঁর জন্য নাকি থাকছে এক জন সহায়কও। কিন্তু প্রথম থেকেই সে সব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছিল, অন্য কয়েদিদের সঙ্গে ভূমিশয্যাতেই রাত কাটছে জোড়া তাঁর। এ প্রসঙ্গে ডি জি (কারা) কে পি সিংহ বলেন, ‘‘রাম রহিমের সেলের নিরাপত্তায় রয়েছেন ৪ জন রক্ষী। কোনও বিশেষ সুবিধা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। মেঝেতেই শুতে হচ্ছে। অন্য কয়েদিদের মতোই সাধারণ খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।”

নিউজ ১৮-এর খবর অনুযায়ী, জেলে একটি ফর্ম দেওয়া হয় তাঁকে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কী কাজ করতে চায় সে৷ কম শিক্ষিত হওয়ায় জেলে কায়িক শ্রম করতে হচ্ছে বাবা-কে। গায়ে গতরে খাটতে হচ্ছে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। তাকে অপশন দেওয়া হয়েছিল, অন্য বন্দিদের খাটিয়া বা চেয়ার বুনতে হবে। পছন্দ না হলে বাগান পরিচর্যা বা জেলের বেকারিতে বিস্কুট তৈরি হবে। কারখানায় কাজ করতে রাজি হননি গুরমিত। ইচ্ছা প্রকাশ করেন জেলের বাগানে কাজ করার। সেই মতো আপাতত জেলের বাগানেই কাজ করছেন গুরমিত। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, কাজ করার জন্য প্রত্যেক দিন তাঁকে ৪০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পালিতকন্যার সঙ্গেই জেলে রাত্রিবাস করতে চাইলেন রাম রহিম!

আরও পড়ুন: রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন

সুনারিয়া জেলে রয়েছে আট জন গ্যাংস্টার আর পঞ্চাশ জন দাগী অপরাধী। নিরাপত্তার জন্য পৃথক একটি সেলে রাখা হয়েছে ‘বাবা’কে। খাবারও মাপা। পাউরুটি আর চায়ে সারতে হবে প্রাতরাশ। দুপুরে বরাদ্দ পাঁচটা রুটি আর ডাল। সন্ধ্যায় চা আর রাতে রুটি-সবজি। সারা দিনে বরাদ্দ আড়াইশো গ্রাম দুধ।

জেলে বাবাকে ছাড়তে হয়েছে তাঁর পছন্দের পোশাক। পরতে হয়েছে কয়েদিদের পোশাক। অতীতে রকস্টার ‘বাবা’কে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিত হরিয়ানা সরকার। সুনারিয়া জেলে রাম রহিমের নিরাপত্তার দায়িত্বে দুই সিনিয়র পুলিশ অফিসার। আর সেলের বাইরে দাঁড়িয়ে বাবার উপরে নজর রাখবেন দু’জন সান্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE