হাইলাকান্দি কংগ্রেসে গ্রাম বনাম শহরের নেতাদের সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে।
দলের অন্দরমহলের খবর, আজ জেলা কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটি গঠন ঘিরে দুই এলাকার নেতাদের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা হয়। গ্রামীণ এলাকার নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ভোটের সময় তাঁদের ‘ব্যবহার’ করা হলেও সংগঠনে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এ দিন জেলা কংগ্রেসের মণ্ডল কমিটি গঠনের জন্য সভা ডেকেছিলেন জেলা সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত। জেলা কংগ্রেস ভবনে ওই সভায় বিভিন্ন এলাকার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। অশোকবাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হতেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। দলের বিভিন্ন মণ্ডল ও জেলা কমিটিতে কে বা কারা মনোনীত হবেন, তা নিয়ে কথাবার্তা তাতে ব্যাহত হয়। ওই সব কমিটিতে গ্রামীণ না শহরাঞ্চলের নেতারা গুরুত্ব পাবেন তা নিয়ে মতানৈক্য হয়। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বিশৃঙ্খলার সময় কার্যত নীবর দর্শক ছিলেন অশোকবাবু। ঝামেলার জন্য জেলা সভাপতির ‘দুর্বল’ নেতৃত্বকে দায়ী করেন অনেকেই। গ্রামীণ এলাকার এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ‘‘ভোট আসলেই গ্রামের নেতা-কর্মীদের খোঁজ পড়ে। কিন্তু দলীয় সংগঠনে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।’’ গ্রামীণ এলাকার কংগ্রেস নেতাদের ক্ষোভ, এই পরিস্থিতি থাকলে হাইলাকান্দি কংগ্রেস আরও শক্তিহীন হয়ে পড়বে বলে তাঁরা মতপ্রকাশ করেন। জেলার প্রথম সারির নেতারা অবশ্য এ দিন হাইলাকান্দি কংগ্রেস ভবনের আলোচনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। যুব কংগ্রেস নেতা ফকরুল ইসলাম একে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উত্তর এড়িয়ে যান। কোনও মন্তব্য করেননি জেলা সভাপতিও। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর কংগ্রেস ভবনে ঝামেলার কথা স্বীকার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy