Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঘেন্না করতাম শিনাকে, খুন কিন্তু করিনি: ইন্দ্রাণী

মেয়েকে বরাবরই ঘেন্না করতেন, কিন্তু খুন করেননি। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন শিনা বরা হত্যা মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতার কথাও মেনেছেন তিনি।

লন্ডনে মাদাম তুসোর জাদুঘরে মিখাইল বরা। পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ছবি

লন্ডনে মাদাম তুসোর জাদুঘরে মিখাইল বরা। পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫২
Share: Save:

মেয়েকে বরাবরই ঘেন্না করতেন, কিন্তু খুন করেননি। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন শিনা বরা হত্যা মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতার কথাও মেনেছেন তিনি। কিন্তু খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। গত কাল খার থানায় বেশ কয়েক দফা জেরা করা হয় ইন্দ্রাণী, তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে। জেরায় ভেঙে পড়া দূরে থাক, শিনা হত্যায় এখন সঞ্জীবের দিকেই আঙুল তুলছেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। আর সঞ্জীব? খুনের কথা তিনিও প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন। তবে ষড়যন্ত্রে থাকার কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। কিন্ত কেন? সূত্রের বক্তব্য, পুলিশকে তিনি জানান টাকার লোভ দেখিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী।

অভিযোগ, বছর তিনেক আগে শিনাকে খুনের পর পুড়িয়ে জঙ্গলে পুঁতে দেওয়া হয়। আজ সেই ঘটনারই পুনর্নির্মাণ করতে শ্যাম ও সঞ্জীবকে নিয়ে রায়গড়ের পেন তালুকের জঙ্গলে যায় খার থানার পুলিশ। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ চলাকালীন আজও পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় হেতেভনে গ্রামের গণেশ ধেনে নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘বছর তিনেক আগে ঘটনাস্থল থেকে আমরা শুধুই কঙ্কাল পেয়েছিলাম। মাংস বলে কিছু ছিল না শরীরে।’’

শিনার পাশাপাশি ২০১২-র ২৪ এপ্রিল তাঁকেও খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে গত কালই বোমা ফাটান শিনার ভাই মিখাইল। আজ মিডিয়া ব্যারন পিটার ও ইন্দ্রাণীর বাংলো থেকে একটি স্যুটকেস উদ্ধার করেছে পুলিশ। এমন একটি স্যুটকেসেই শিনার দেহ জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নয়া স্যুটকেস উদ্ধারের পর মিখাইলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। তাঁকে ও শিনার প্রেমিক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ডাকা হতে পারে পিটারকেও।

মাস তিনেক আগেই একটি ফোনের সূত্রে ‘হাই-প্রোফাইল’ শিনা বরা হত্যাকাণ্ড প্রথম নজরে আসে মুম্বই পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার। তার পর প্রায় রাতারাতি রুটিন বদলি দেখিয়েই মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা থেকে খার থানায় আনা হয় ইন্সপেক্টর দীনেশ কড়মকে। ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ, ২৬/১১-র হামলা থেকে শুরু করে পুণের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণের তদন্ত, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মাথা রিয়াজ ভটকলকে গ্রেফতার— যেখানে রাকেশ মারিয়া, সেখানেই তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন দীনেশ।

তাই মারিয়ার নির্দেশে দীনেশ শিনা খুনের তদন্তে হাত দিতেই একে একে জালে শ্যাম-ইন্দ্রাণী-সঞ্জীব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE