Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পটেলের দুশ্চিন্তা বাড়াল এনসিপি

বিজেপি যাতে বিধায়ক ভাঙাতে না-পারে, তার জন্য দলের ৪৪ জন বিধায়ককে এত দিন বেঙ্গালুরুর রিসর্টে সরিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস। সোমবার তাঁরা আমদাবাদে ফিরেছেন।

আহমেদ পটেল। ফাইল চিত্র।

আহমেদ পটেল। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৫:০৫
Share: Save:

রাজ্যসভায় ফেরার জন্য নিজেদের বিধায়কদের ওপরেই ভরসা রাখতে পারছেন না কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী আহমেদ পটেল। সঙ্গে যোগ হয়েছে শরিক এনসিপি-কে নিয়ে উৎকণ্ঠা।

সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদের অবশ্য দাবি, কালকের ভোটে তাঁর জয় নিশ্চিত। দরকারের থেকে বেশি ভোটই পাবেন তিনি। ‘চমক’-এর জন্য সাংবাদিকদের অপেক্ষা করতে বলেছেন।

বিজেপি যাতে বিধায়ক ভাঙাতে না-পারে, তার জন্য দলের ৪৪ জন বিধায়ককে এত দিন বেঙ্গালুরুর রিসর্টে সরিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস। সোমবার তাঁরা আমদাবাদে ফিরেছেন। কিন্তু এই একটি রাতের জন্যও তাঁদের আমদাবাদে রাখার ঝুঁকি নেননি আহমেদ। রাখিবন্ধনে বাড়িও যেতে দেওয়া হয়নি। আমদাবাদ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে আনন্দের একটি রিসর্টে তাঁদের তোলা হয়েছে। আহমেদ আজও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘হুইপ জারি হয়েছে। কেউ ক্রস-ভোট করলে বিধায়ক পদ যাবে, দলও শাস্তি দেবে!’’ যা দেখে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী কটাক্ষ করেছেন, ‘‘নিজেদের বিধায়কদের ওপরেই তো ওঁদের ভরসা নেই!’’

মঙ্গলবার গুজরাতে রাজ্যসভার ৩টি আসনে ভোট ঘিরে উত্তেজনা চরমে। ২টি আসনে অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানির জয় নিশ্চিত। তৃতীয় আসনে বিজেপি প্রার্থী বলবন্তসিন রাজপুতকে হারাতে আহমেদ পটেলের দরকার ৪৫ জন বিধায়কের ভোট। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে নিজেদের ৪৪ জন বিধায়ক। আহমেদের দাবি, এনসিপি-র ২ জন এবং জেডি (ইউ)-র ১ জন বিধায়কও তাঁকেই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, কংগ্রেসের সব বিধায়ক কি আহমদকে ভোট দেবেন?

আরও পড়ুন:নোটবন্দির পাল্লা ঝুঁকে লোকসানে, স্ট্যান্ডিং কমিটি সূত্রের ইঙ্গিত

শরদ পাওয়ার নিজে কংগ্রেসকে সমর্থনের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। কিন্তু আর এক এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল জানিয়েছেন— তাঁদের ২ বিধায়কের ভোট কোন দিকে পড়বে, সেই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সকালেই হবে। এর মধ্যে এক এনসিপি বিধায়ক ফাঁস করে দিয়েছেন, প্রফুল্ল তাঁদের বিজেপিকেই ভোট দিতে বলেছেন। রাতে বলা হয়, প্রফুল্ল মঙ্গলবার সকালে আমদাবাদ গিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেওয়া হবে। অর্থাৎ ভোটের আগের রাত পর্যন্ত আহমদকে উৎকণ্ঠাতেই রাখল এনসিপি। অনেকে বলছেন, এনসিপি গুজরাতে কংগ্রেসকে তাদের গুরুত্ব বোঝাতে চাইছে। আবার অন্যরা বলছেন, ভিতরে ভিতরে আসলে ঘোড়ার অন্য খেলা চলছে।

বিজেপির লক্ষ্য সনিয়ার রাজনৈতিক সচিবকে হারিয়ে কংগ্রেসের মনোবল ভেঙে দেওয়া। যা আঁচ করে আহমেদ আজ বলেন, ‘‘সনিয়াজির রাজনৈতিক সচিব নই, এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে আমি লড়ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE