গরমের পারদ ক্রমশ চড়ছে। যার জেরে কাহিল গোটা দেশ। আর প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে।
বৃষ্টি কবে মিলবে, তার জবাব দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। তাপ প্রবাহ যে সপ্তাহভর চলবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত ১৪১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাপপ্রবাহের প্রভাব বেশি পড়েছে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। কয়েক দিনে সেখানে তাপপ্রবাহের শিকার প্রায় ১৩৬০ জন। মঙ্গল ও বুধবারেই তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রে মৃতের সংখ্যা ৭৪ ও ১৬৮।
হায়দরাবাদ আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ওয়াই কে রেড্ডি জানিয়েছেন, আগামী দু’দিন তাপপ্রবাহ চলবে। তবে আশার আলোও দেখিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণ ভারতে ৩১ মে বর্ষা ঢুকবে বলে আশা আবহবিজ্ঞানীদের।
অন্ধ্র-তেলঙ্গানাই নয়, দেশের আনাচে-কানাচে বহু জায়গাতেই তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। এ মাসে আমদাবাদেও প্রাণ হারান ৭ জন। ওড়িশা ও রাজস্থানে তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ৪১ ও ৪৭ জনের। দিল্লিতে ২ জন।
আমদাবাদ সরকার জানিয়েছে, সাত দিনেও তাপমাত্রা কমার আশা নেই। বরং তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এর জেরে মঙ্গলবার আমদাবাদে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। সাধারণত টানা কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলতে থাকলেই ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি হয়। চলতি মাসে হিটস্ট্রোকের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শহরের বহু মানুষ।
উত্তর, মধ্য ও পূর্ব ভারতেও চলবে তাপপ্রবাহ। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আজকের তাপমাত্রা ছিল ৪১ থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে। ওড়িশা- ঝাড়খণ্ড-অন্ধ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ‘রেড বক্স’ জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনের কারণে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। তাই ‘রেড বক্স’ জারি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy