বাজেটে সাংসদদের বেতন বেড়েছিল দ্বিগুণ। আজ বাড়ানো হল অন্য ভাতাও।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনী কেন্দ্র ভাতা প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৭০ হাজার টাকা। অফিস খরচ ৪৫ হাজার টাকা বেড়ে হবে ৬০ হাজার টাকা। আর বাড়ির আসবাবের জন্য প্রাপ্ত ৭৫ হাজার টাকা বেড়ে হবে ১ লক্ষ টাকা। এজন্য সরকার ৪৫ কোটি টাকার বাড়তি বোঝা বহন করবে।
অরুণ জেটলির বাজেটেই ঘোষণা করা হয়েছিল, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে সাংসদদের মাসিক বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ টাকা। প্রতি পাঁচ বছরে মূল্যবৃদ্ধির সূচকের হিসেবে বাড়বে বেতন।
তবে এতেও অনেক সাংসদের মুখ ভার। তাঁদের যুক্তি, সফরের সময় যে বাড়তি ২৫ শতাংশ অর্থ পাওয়া যেত, বাজেটে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। সে টাকার বদলে যে অর্থ বাড়ানো হয়েছে, তাতে কোনও ‘সৎ’ সাংসদের পক্ষে সংসার চালানো দায়। যদিও সরকারের যুক্তি, সফর থেকে বাড়তি আয়ে সবথেকে বেশি গরমিল হত। সরকার তা বন্ধ করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, এইমুহূর্তে প্রায় ৪৫০ জন সাংসদই কোটিপতি। কিন্তু অনেক সাংসদের প্রশ্ন, যাঁরা কোটিপতি নন, তাঁদের কী করে চলবে?
এক সাংসদের অনুযোগ, ফ্রি-টেলিফোন কলের আওতায় ব্রডব্যান্ড কলও আজ নিয়ে এসেছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া, অফিসের খরচ বাড়ানো হলেও ওই টাকায় নির্বাচনী কেন্দ্র এবং দিল্লিতে দু’জন কম্পিউটার জানা ব্যক্তিকে বেতন দেওয়া কী করে সম্ভব? বিশেষত, পাঁচ বছরে যখন এই টাকার কোনও বদলও হবে না! তা হলে সব দিক কী ভাবে সামাল দেবেন তাঁরা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy