Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নোটে নাজেহাল পাহাড়ি গ্রাম

ডিমা হাসাও জেলাকে ‘ক্যাশলেস’ করার উদ্যোগ কার্যত থমকে পড়েছে।পাহাড়ি জেলার বেশিরভাগ গ্রামে ব্যাঙ্ক নেই। নোট বাতিলের দু’মাস পরও পাহাড়ে ‘ক্যাশলেস’ পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। বিশেষত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। ডিমা হাসাওয়ে গ্রামগুলির অনেকের কাছেই নেই এটিএম কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কারও কারও কাছে এটিএম কার্ড থাকলেও লাভ হচ্ছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাফলং শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২১
Share: Save:

ডিমা হাসাও জেলাকে ‘ক্যাশলেস’ করার উদ্যোগ কার্যত থমকে পড়েছে।

পাহাড়ি জেলার বেশিরভাগ গ্রামে ব্যাঙ্ক নেই। নোট বাতিলের দু’মাস পরও পাহাড়ে ‘ক্যাশলেস’ পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। বিশেষত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। ডিমা হাসাওয়ে গ্রামগুলির অনেকের কাছেই নেই এটিএম কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কারও কারও কাছে এটিএম কার্ড থাকলেও লাভ হচ্ছে না। কারণ পাহাড়ি জেলার অধিকাংশ গ্রামেই এটিএম নেই।

হাফলং, মাইবাং, মাহুর, হারাঙ্গাজাও, উমরাংশু, লাংটিং, দিয়ুংমুখ ছাড়া পাহাড়ি জেলার কোনও জায়গায় নেই ব্যাঙ্ক। শহরে পৌঁছে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে টাকা তুলে বাড়ির রাস্তা ধরতে সন্ধেও হয়ে যায়। কিন্তু জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাও খারাপ। বাড়ি ফেরার তাড়ায় অনেকে ব্যাঙ্কের বিশাল লাইনে দাঁড়িয়েও দুপুর গড়ালেই বাধ্য হয়ে খালি হাতেই ফেরার পথ ধরেন।

ডিমা হাসাওয়ে অধিকাংশ গ্রামের মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। পাহাড়ি জেলার গ্রামগুলিকে ‘ক্যাশলেস’ করার উদ্যোগ তাই কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে তাই প্রশানের অন্দরেও সংশয় রয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। সদর শহর হাফলংয়েও ‘ক্যাশলেস’ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। মোবাইল পরিষেবায় সংস্যাই তার অন্যতম কারণ। ‘নেটওয়ার্ক’ না থাকায় কাজ বন্ধ করে এটিএম-ও। সোয়াইপ-মেশিনের অভাবে হাফলং শহরে এটিএম কার্ডও বাজারহাটে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শহরের একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক জানান, দেড়মাস আগে হাফলংয়ের একটি ব্যাঙ্কে ওই যন্ত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখনও তা হাতে পাননি। হাফলং শহরের অন্য কয়েক জন ব্যবসায়ীও সোয়াইপ মেশিন নিয়ে একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

নোট বাতিলের দু’মাস পরও পাহাড়ি জেলায় খুচরোর সমস্যা মেটেনি। শহরবাসীর বক্তব্য, ব্যাঙ্ক থেকে খুচরো নোট মিলছে না। পাওয়া যাচ্ছে শুধু ২ হাজার টাকার নোট। হাফলং শহরে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ৪টি এটিএম সচল রয়েছে। অভিযোগ, জেলার অন্য ব্যাঙ্কগুলির এটিএম গত ৯ নভেম্বর থেকেই বিকল পড়ে রয়েছে।

ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল লাংথাসা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির কথা বলছেন। কিন্তু পাহাড়ি জেলার অধিকাংশ গ্রামে মোবাইল বা ইন্টারনেট পরিষেবা পর্যন্ত নেই। সে সব গ্রাম কী ভাবে ক্যাশলেস হবে তা কি প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন?’’ পাহাড়ি জেলাকে ‘ক্যাশলেস’ পাঁচ দশক সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন নির্মলবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Demonetisation Cashless Digital Transaction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE