প্রতীকী ছবি।
পাকা বাড়ি। স্বাচ্ছন্দ্য এবং আড়ম্বরের বাড়বাড়ন্ত। বাড়ির দরজায় শোভা বাড়াচ্ছে চার চাকাও। শুধু যেটি নেই, তা হল শৌচালয়। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে আসছেন রাজস্থানের বুন্দি জেলার ছোট্ট শহর হিন্দোলির নাথ ও সুয়ালাকা সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: এ বার গোরক্ষকদের হামলা নীতীশের বিহারে, গণপিটুনির শিকার ৩
রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দোলিতে ওই সম্প্রদায়ের মোট ৪০টি বাড়ি রয়েছে। বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৩০০। প্রতিটি বাড়ি পাকা। সাকুল্যে গাড়ির সংখ্যা ৩০। অথচ, শৌচালয় রয়েছে মাত্র ১৬টি বাড়িতে। বাকিরা খোলা মাঠেই শৌচকর্ম করতে অভ্যস্ত। এলাকার এক বাসিন্দা ঘাসি লাল নাথের পরিবারে ১০ জন সদস্য। মার্বেলে সুসজ্জিত বাড়ি। কিন্তু শৌচকর্ম করতে বাড়ির মহিলাদের ভরসা খোলা মাঠ। কেন এমন পরিস্থিতি? ৭০ বছরের বৃদ্ধের কথায়: ‘‘আমার অত টাকা নেই বাড়িতে বাথরুম তৈরি করব। তবে তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ভাবব।’’ এরই সঙ্গে বৃদ্ধের অভিযোগ, যারা শৌচালয় তৈরি করেছে তারা কেউই নাকি শৌচালয় তৈরির জন্য সরকারের বরাদ্দ ১৫ হাজার টাকা পায়নি।
আরও পড়ুন: ভিন্ ধর্মের মহিলার সঙ্গে প্রেম, নগ্ন করে মার যুবককে
একই অভিযোগ পুষ্কর সুয়ালাকা, চিত্তর লাল এবং নাথুজি মহারাজেরও। পুষ্করের কথায়: ‘‘দু’বছর আগে শৌচালয় তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের অফিসে দরখাস্ত করেছিলাম। প্রথম বার সেটি হারিয়ে যায়। ফের দরখাস্ত করি। কিন্তু এখনও বরাদ্দ টাকা এসে পৌঁছয়নি।’’ অন্য এক বাসিন্দার দাবি, শৌচালয় তৈরি করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়, যেখানে সরকারের বরাদ্দ ১৫ হাজার টাকা। আর সেই বরাদ্দ টাকাও ঠিক সময়ে এসে পৌঁছয় না বলেই তাঁর দাবি। তবে সম্প্রতি শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু করেছেন ওই এলাকার শিক্ষিকারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy