প্রতীকী চিত্র।
নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল ছুটি পেতে নিজের স্কুলের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে ছুরি মারায় অভিযুক্ত লখনউয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি। তার দাবি, বিকেলে টেলিভিশনে ঘটনাটি দেখার আগে সে এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে দোষী বলে প্রথমে বন্ধ ঘরে জেরা করে, তার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই ছাত্রী বলে, সিবিআই বা অন্য কোনও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করালেই প্রকৃত দোষী ধরা পড়ে যাবে।
গত বুধবার এই ঘটনার পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে। পরে নাবালক বিচার বোর্ড তাকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়েছে। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে সোমবার প্রথম মুখ খুলে ওই ছাত্রী বলে, হৃতিক শর্মা নামে ওই ছাত্রটিকে সে কোনও দিন দেখেওনি। ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আহত ওই ছাত্রকে কয়েক জন প়ড়ুয়ার ছবি দেখায়। তার যে ছবিটি দেখানো হয়, সেটি অনেক পুরনো। তাতে তার লম্বা চুল ছিল। গত নভেম্বরে সেই চুল সে কেটে ফেলেছে। ছোটবেলার সেই ছবির সঙ্গে তার এখনকার মুখের ছাঁদও বদলেছে। কিন্তু হৃতিক পুরনো সেই ছবিটিই তার আক্রমণকারী হিসেবে দেখায় বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি। তারা তখনই তাকে আততায়ী বলে চিহ্নিত করে ফেলে, পুলিশের হাতেও তুলে দেয়। ছাত্রীটির অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার বাবার মনোমালিন্য হয়। হতে পারে, সে কারণেই কাউকে বাঁচাতে তাকে আততায়ী বলে চিহ্নিত করে স্কুল। তাকে তল্লাশি করে কোনও ছুরিও পাওয়া যায়নি।
ব্রাইটল্যান্ড স্কুলে ওই ঘটনার পরে ছাত্রীটির বাবাও দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে এ কাজ করেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁর মেয়ে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলত। অথচ মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ, কিছুই তার নেই। বিচারের আগে তাঁর মেয়েকে দোষী প্রমাণ করে দেওয়ায় সংবাদ মাধ্যমকেও দোষেন ওই ছাত্রীর বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy