বলা হচ্ছে, অরুণ জেটলিকে কার্যত অন্ধকারে রেখেই নোট নাকচের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আপনি যদি জেটলির জায়গায় থাকতেন, তা হলে কী করতেন?
• আমি অর্থমন্ত্রী হলে ৮ নভেম্বর, নোট বাতিলের ঘোষণার দিনই পদত্যাগ করতাম।
আর নোট নাকচের পরের বাজেট সামলাতেন কী ভাবে?
• উৎপাদন শুল্কের হার কমাতাম, যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে, তাতে কয়েক কোটি মানুষ, শিল্প-ব্যবসা লাভবান হতো। ২০১২-য় অর্থ মন্ত্রকে ফিরে এসে বিশ্ব জোড়া মন্দার হাত থেকে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে এই কাজটিই করেছিলাম।
আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। তাতে দারিদ্র মোচন ও চাকরি তৈরি হতো।
আয়কর আইনে ৮৫টা বদল করা হয়েছে, যা সাধারণ করদাতার বোধগম্যতার বাইরে। আইনে অসঙ্গতি ও ফাঁকফোকর রুখতে হলেও এই কাজ শেষ হওয়ার নয়। উচিত ছিল, খসড়া প্রত্যক্ষ কর বিধি সময়োপযোগী করে চালু করে দেওয়া।
জেটলি করছেন, এমন কী কী কাজ করতেন না?
• রাজকোষ ঘাটতির শৃঙ্খলা ভাঙতাম না। এটা ঠিক কাজ হয়নি। আগামী অর্থ বছরের ঘাটতি ৩ শতাংশে বেঁধে রাখা উচিত ছিল। তার বদলে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.২% করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি লগ্নিকারীরা একে ভাল চোখে দেখবেন না।
এই বাজেটে প্রশংসা করার মতো কিছুই কি নেই?
• কিছু ভাল নিশ্চয়ই আছে। যেমন ৩ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক দলের চাঁদায় স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচনী বন্ড, গৃহহীনদের জন্য ১ কোটি ঘর, ফসল বিমার পরিধি বাড়ানো, প্রায় ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত মূলধনী ব্যয় (অবশ্য যদি অর্থের সংস্থান করা হয়ে থাকে), এগুলি অবশ্যই প্রশংসনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy