Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

চোখ ধাঁধানো সমারোহে যাত্রা শুরু করল কমল হাসনের দল

পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এ দিন সন্ধ্যায় দলের সূচনা কর্মসূচির সূত্রপাত করেন কমল হাসন। সাদা পতাকা। প্রতীক হল পরস্পরকে ধরে রাখা ছটি হাত। তিনটি হাতের রং লাল, তিনটির রং সাদা। হাতগুলির মাঝে কালো পটভূমির উপর সাদা তারা।

রোড শোয়ে কমল হাসন। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

রোড শোয়ে কমল হাসন। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
মাদুরাই শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:৫৩
Share: Save:

যাত্রা শুরু হল কমল হাসনের রাজনৈতিক দলের। বুধবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে নবগঠিত দলের নাম এবং আনুষ্ঠানিক সূচনার কথা ঘোষণা করলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। চোখ ধাঁধানো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করল তামিল রাজনীতির নতুন অংশীদার ‘মক্কাল নিধি মইয়ম’। বিশাল সমারোহে হাজির ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের সূচনা করে অনুগামীদের বড়সড় জমায়েতের উদ্দেশে কমল হাসনের বার্তা, ‘‘আমি আপনাদের নেতা নই, আমি আপনাদের হাতিয়ার।’’

পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এ দিন সন্ধ্যায় দলের সূচনা কর্মসূচির সূত্রপাত করেন কমল হাসন। সাদা পতাকা। প্রতীক হল পরস্পরকে ধরে রাখা ছটি হাত। তিনটি হাতের রং লাল, তিনটির রং সাদা। হাতগুলির মাঝে কালো পটভূমির উপর সাদা তারা।

মক্কাল নিধি মইয়ম-এর (এমএনএম) অর্থ হল জন-ন্যায় কেন্দ্র (সেন্টার ফর পিপলস জাস্টিস)। দলের যে পতাকা এ দিন প্রকাশ করলেন কমল হাসন, তা থেকে স্পষ্ট যে, কমল হাসনের দলও দ্রাবিড় রাজনীতিরই প্রবক্তা হয়ে উঠতে চলেছে। দ্রাবিড়ীয় রাজনৈতিক দর্শনে বা আন্দোলনে সাদা এবং কালো অপরিহার্য রং। তামিলনাড়ুর দুই প্রধান রাজনৈতিক দল এআইএডিএমকে এবং ডিএমকে-র পতাকাতেও এই দুই রং রয়েছে। আর বামপন্থার প্রতি কমল হাসনের যে ঝোঁক, দলের পতাকায় লাল রং এবং তারা-র উপস্থিতি তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

তামিলনাড়ুতে এ বার জনতার শাসন শুরু হবে— সমর্থক, অনুগামীদের উদ্দেশে এ দিন এই বার্তাই দিয়েছেন কমল হাসন। এমএনএম-এর সূচনা হল জনতার শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ— মন্তব্য দক্ষিণী সুপারস্টারের।

রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক সূচনা যে বুধবারই হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন কমল হাসন। এ দিন সকাল থেকেই তাই ঠাসা কর্মসূচি ছিল তাঁর। প্রথমে তিনি যান রামেশ্বরমে, দেশের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের বাড়িতে। কালামের দাদার আশীর্বাদ চেয়ে নেন হাসন। কালাম স্মারকে গিয়ে শ্রদ্ধাও জানান।

দল ঘোষণার সময় কমল-সমর্থকরা। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

আরও পড়ুন: সিনেমা থেকে রাজনীতি, দক্ষিণে কমল-রজনীর পূর্বসূরীরা

রামেশ্বরমে মৎস্যজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন কমল হাসন। তামিল মৎস্যজীবীদের জীবনকে আরও মসৃণ করে তুলতে এবং তাঁদের পেশাকে আরও সুরক্ষিত করতে যা কিছু করা দরকার, তিনি তা করবেন। অঙ্গীকার করেন তিনি।

রামেশ্বরম থেকে কমল হাসন যান রামনাথপুরমে। সেখান থেকে নিজের পৈতৃক ভিটে পরমাকুড়ি। রামনাথপুরম থেকে পরমাকুড়ি যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় বড়সড় জমায়েত কমল হাসনকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় ছিল। বেশ কয়েকটি জায়গায় থামেন তিনি, ভাষণও দেন। তামিল জনতার উদ্দেশে নেতা হয়ে ওঠা অভিনেতার বার্তা, ‘‘আমি আর সিনেমার তারকা নই, এখন থেকে আমি আপনাদের ঘরের প্রদীপ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE