নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় কাশ্মীরিদের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে সাড়াও দিলেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মূলস্রোতের রাজনীতিকেরা।
মোদী সরকার কাশ্মীরের সমস্যার কেবল সামরিক পথে সমাধান খুঁজছে বলে বার বার দাবি করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গুলি বা গালাগালি দিয়ে কাশ্মীরে সমাধান খোঁজা যাবে না। ভালবেসে কাশ্মীরিদের কাছে টেনে নিতে হবে।’’ সেইসঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিদের সম্পর্কে নরম মনোভাব নেওয়ার প্রশ্ন নেই। সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে অনেক দেশই ভারতের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লালকেল্লার মঞ্চ থেকে সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজনীতিকদের মতে, কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই পথ খুঁজছে মোদী সরকার। স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে তাই উপত্যকায় আলোচনার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বার্তায় সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগেই শ্লোগান দিয়েছিলাম, বন্দুক সে না গোলি সে, বাত বনেগি বোলি সে। সেই শ্লোগান আজও একই রকম প্রাসঙ্গিক। প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে স্বাগত জানাই।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদীর বক্তব্য সদর্থক বলে মন্তব্য করেছেন হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গুলি বা গালাগালিতে যে কাজ হবে না তা প্রধানমন্ত্রীই বিশ্বাস করেন। যদি মানবতার (ইনসানিয়ত) ভিত্তিতে সুবিচার (ইনসাফ) করা হয় তবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে।’’
বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা অবশ্য কিছুটা সন্দিহান। মোদীর বার্তা যে কাশ্মীরে সাড়া জাগিয়েছে তা মেনে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর মতে, মোদীর বক্তব্যে যে সারবস্তু রয়েছে তা প্রমাণ করতে কেন্দ্রকে উদ্যোগী হতে হবে। ওমরের কথায়, ‘‘আশা করি গুলি আর গালাগালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জঙ্গি আর বাহিনী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’’ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার কটাক্ষ, ‘‘আমরা কখনও কাশ্মীরিদের কাছে টেনে নেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াইনি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত কাশ্মীর নিয়ে জাতীয় স্তরে সর্বসম্মতি তৈরি করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy