প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অর্ডিন্যান্স পাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশু ধর্ষণের আরও একটি ঘটনা ঘটল। এ বার ওডিশায়।
কটক জেলার জগন্নাথপুর গ্রামে শনিবার ৬ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে তাকে গলা টিপে মারার চেষ্টা হয়। মারা গিয়েছে ভেবে বালিকাটিকে একটি স্কুলের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক। সোমবার ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সালেপুরের এসডিপিও পি কে জেনা জানিয়েছেন। শনিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একটি অর্ডিন্যান্স পাশ হয়। যাতে বলা হয়, এ বার শিশু ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ডই।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে, সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল ওই বালিকা। কিছু ক্ষণ পর গোটা এলাকায় লোডশেডিং হয়ে যায়। অনেক ক্ষণ পরেও বালিকাটি না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন তার খোঁজ-তল্লাশ শুরু করেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বালিকাটির পরিবারের লোকজন ঘণ্টাখানেক পর স্কুলটিতে গিয়ে ৬ বছর বয়সী মেয়েটিকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার পরনে জামাকাপড় ছিল না। মাথা ও মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরচ্ছিল।
এসডিপিও জেনা জানিয়েছেন, বালিকাটিকে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বালিকাটির অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। তারা মাথা, মুখ, গলা, বুক ও গোপনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন- ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির সই, শিশুধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেল
ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতাপ জেনা সোমবার হাসপাতালে গিয়ে বালিকাটিকে দেখে এসেছেন। জানিয়েছেন, বালিকাটিকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ১৩ জন বিশেষজ্ৎ চিকিৎসককে ওই হাসপাতালে আনানো হয়েছে।
সালেপুরের পুলিশ ইনস্পেক্টর ডি কে মল্লিক জানিয়েছেন, বালিকার দাদুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ‘পস্কো’ আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) (ধর্ষণ) এবং ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy