—ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির বয়স তিন বছর হতে চলল। কিন্তু এখনও ছিটমহল উন্নয়নের প্যাকেজের জন্য মোট বরাদ্দ কেন্দ্রীয় অর্থের তিন-চতুর্থাংশ খরচ করতে পারেনি রাজ্য। খরচের শংসাপত্র দিতে না পারায় হাতে আসেনি বরাদ্দের অর্ধেক টাকাও।
২০১৫-র জুনে ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই ছিটমহল সমস্যার সমাধানের কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়।
এই দাবি-পাল্টা দাবির মধ্যে বিজেপি অভিযোগ করে, কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা ঠিকমতো খরচ করা হচ্ছে না। সম্প্রতি মশালডাঙার একটি ছিটমহলে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও নিম্নমানের কাঁচামাল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বরাদ্দ ও টাকা খরচ সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম জানিয়েছেন, ‘‘মোট বরাদ্দ অর্থের (পাঁচ বছরে ১০০৫.৯৯ কোটি টাকা) মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪২৩ কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ২৬০ কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র জমা দিয়েছে।’’
মন্ত্রী জানান, এই প্যাকেজের অধীনে রয়েছে কোচবিহারে বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণ এবং ভারতে অবস্থিত প্রাক্তন বাংলাদেশি ছিটমহলের মানোন্নয়ন, ছিটমহলগুলি থেকে ফেরত আসা ভারতীয়দের সাময়িক এবং স্থায়ী পুনর্বাসন কেন্দ্র গঠনের মত বিষয়গুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy