Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চিন-সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে ডোকলাম নিয়ে পাল্টা চাপ

সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, চিন-সীমান্তে সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সেনার অন্দরে সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যদিও মন্তব্য করতে নারাজ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৯
Share: Save:

ডোকলাম নিয়ে চিনের উপরে পাল্টা চাপ বাড়িয়ে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়াল ভারত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, চিন-সীমান্তে সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সেনার অন্দরে সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যদিও মন্তব্য করতে নারাজ।

শুক্রবারই লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছিলেন, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সক্ষম। ডোকলাম সঙ্কট নিয়ে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে জেটলির উত্তর ছিল, ‘‘আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে তৈরি।’’ তার পরেই চিন সীমান্তে সেনার গতিবিধি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। তাদের বক্তব্য, চিনের চোখ রাঙানিকে ভারত যে ভয় পায় না, তা বোঝাতেই এমন পদক্ষেপ।

এরই মধ্যে বিমস্টেক-এর সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে কাঠমান্ডু গিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। চিনকে কোণঠাসা করতে বিমস্টেক-এর এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছেন সুষমা। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকেই তিনি দেখা করেছেন ভুটানের বিদেশমন্ত্রী দামচো দরজির সঙ্গে। ডোকলাম নিয়ে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে সুষমা এবং দামচো-র এটিই প্রথম বৈঠক। ফলে দুই বিদেশমন্ত্রীর এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেছেন কূটনীতিকরা।

আরও পড়ুন: চিন-সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে ডোকলাম নিয়ে পাল্টা চাপ

বৈঠকে দামচোকে আশ্বাস দিয়ে সুষমা জানান, ভুটানের সার্বভৌমত্বে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না ভারত। ভুটানও জানিয়েছে, ডোকলাম তাদের এলাকা। সেখানে রাস্তা তৈরি করে চিনা সেনা ভুটানের সার্বভৌমত্বে হাত দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে বিদেশমন্ত্রী দেখা করলেন ভুটানের বিদেশমন্ত্রী দামচো দরজির সঙ্গে।’’ বৈঠকের পরে দামচো বলেন, ‘‘আলোচনা এবং আপসের মাধ্যমেই ডোকলাম পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আমাদের আশা।’’

ভারত-ভুটান ছাড়াও বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং তাইল্যান্ড। বঙ্গোপসাগর এলাকার এই সাতটি দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক লেনদেন তৈরি করাই বিমস্টেক বৈঠকের লক্ষ্য। এখানেও যে ডোকলামের ছায়া পড়বে, তা এক রকম জানাই ছিল। এই পরিস্থিতিতে এ দিন ভুটানের পাশাপাশি অন্য দেশগুলিকেও কাছে টানতে চেষ্টার কসুর করেননি সুষমা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE