Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে ফের মিলল পাক সুড়ঙ্গ

জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সীমান্তে তেমনই এক সুড়ঙ্গ নজরে এসেছে বিএসএফের। সূত্রের খবর, সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের দিকে ১৪ ফুট পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে ওই সুড়ঙ্গ।

সংবাদ সংস্থা
জম্মু শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৬
Share: Save:

পাহাড়-জঙ্গল-কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে জঙ্গি ঠোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় বাহিনীর নজরে পরে মারাও পড়ছে তাদের অনেকে। তাই সুড়ঙ্গ খুঁড়ে, মাটির নীচ দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সীমান্তে তেমনই এক সুড়ঙ্গ নজরে এসেছে বিএসএফের। সূত্রের খবর, সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের দিকে ১৪ ফুট পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে ওই সুড়ঙ্গ। তার ভিতরে যতটা জায়গা রয়েছে, তাতে হাতে ও পিঠে অস্ত্র নিয়ে অতি সহজে হামাগুড়ি দিয়ে ও-পার থেকে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়া যায়। বিএসএফের সন্দেহ, ওই পথে জঙ্গিদের বড়সড় দলকে ভারতে ঢোকানোর ছক কষা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, পাক অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে জম্মুর বিক্রম এবং পটেল সেনাচৌকির মাঝে দমালা নালার কাছে সীমান্ত বরাবর রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। ঠিক তার নীচ দিয়েই তৈরি করা হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গটি। ১৫ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাক হানায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এই এলাকাতেই। সম্প্রতি পাক হানায় এই এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন বিএসএফ জওয়ান বীজেন্দ্র বাহাদুর (৩২) ও এক স্থানীয় বাসিন্দা। সন্দেহ, সুড়ঙ্গ খোঁড়ার দিক থেকে নজর ঘোরাতেই এলাকায় গোলাগুলির তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাক সেনা।

বিএসএফের এক কর্তার কথায়, ‘‘যখন সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলে, তখনও তার ভিতরে লোকজন ছিল। শ্রমিক তো ছিলই, তাদের মধ্যে জঙ্গিও ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বাহিনী গুলি করতেই তারা সকলে সুড়ঙ্গের পাক মুখ দিয়ে পালিয়ে যায়।’’ তিনি আরও জানান, শুধু যাওয়া-আসার জন্য নয়, মাটির নীচে একটা বড় জায়গা বা কুঠুরি তৈরি করে ফেলেছিল ওরা। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও খাবার নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হামলা চালানো, কিংবা অনেকে মিলে নাশকতা চালানোর জন্য রসদ জমিয়ে রাখার মতো করে তৈরি করা হয়েছিল ওই কুঠুরি।

বিএসএফের হাতে এমন কোনও যন্ত্র নেই, যা দিয়ে মাটির নীচের কোনও গতিবিধি বোঝা যায়। ফলে সুড়ঙ্গ বা গর্ত খোঁড়া হচ্ছে কি না তা জানতে মাঝেমধ্যেই বাহিনীকে বনজঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ি দুর্গম এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাতে হয়। এমনই এক অভিযানে নেমে আর একটি সুড়ঙ্গ নজরে এসেছিল সাত মাস আগে। সেটি ছিল সাম্বার রামগড় সেক্টরে।

এ দিনই লেহ থেকে কারাকোরাম পর্যন্ত প্রথম-শ্যোক সেতু উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শ্যোক গোং নদীর উপরে তৈরি এই সেতুটি স্থানীয়দের পাশাপাশি সেনা যান যাতায়াতের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE