আপাতত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যসভার ভোট। পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া এবং গুজরাতের খালি হওয়া আসনগুলির জন্য ৮ জুন ভোট নেওয়ার কথা ছিল। গত ১৬ মে কমিশন এ নিয়ে বি়জ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সোমবার তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কেন পিছিয়ে দেওয়া হল ভোট?
কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার সচিবরা একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এবং রাজ্যসভা ভোটের রিটার্নিং অফিসার হিসাবে কাজ করেন। দু’টি ভোটের কাজ একসঙ্গে পড়ায় প্রশাসনিক প্রস্তুতির সমস্যা হতো, কমিশন মনে করছে।
এ ছাড়া আগামী ৩ জুন কমিশন ভোটযন্ত্রের কারচুপি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চ্যালেঞ্জ রেখেছে। এ নিয়ে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকবে তখন রাজ্যসভার ভোটগ্রহণের উপযুক্ত সময় নয়। সেই কারণেই ভোট পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানান
কমিশনের ওই কর্তা।
যদিও কমিশনের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় বিরোধী দলগুলি। তাদের মতে, যে সব আসনে ভোট হচ্ছিল সেই সাংসদদের মেয়াদ রয়েছে অগস্ট পর্যন্ত। এমনকী ৮ জুন ভোট হয়ে গেলেও নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পর্যন্ত হতো না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এখনকার সাংসদরাই ভোট দিতেন। তা হলে কীসের তাড়াহুড়ো? কমিশনকে এই সিদ্ধান্ত ভেবে দেখার জন্য বেশ কয়েকটি দল অনুরোধ জানিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভোট মিটলেই এ নিয়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি দিতে বলেছিল। দলগুলির দাবি, সে কথা বিবেচনা করেই প্রথম বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ছ’দিন পর তা তুলে নিল কমিশন।
এ রাজ্যে মোট ছ’টি আসনে খালি হয়েছিল। তার মধ্যে তৃণমূল পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে এ বার মানস ভুঁইঞা এবং শান্তা ছেত্রীকে প্রার্থী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অপর আসনটি কংগ্রেস-সিপিএম জোটের হয়ে লড়তে পারেন সীতারাম ইয়েচুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy