Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আমি খুন হয়ে যেতে পারি: মিখাইল বোরা

এ বার টার্গেট তিনি। শিনা হত্যা-কাণ্ডে মুখ খোলার পর বৃহস্পতিবার এমনই চাঞ্চল্যকর কথা বললেন ভাই মিখাইল বোরা। মিখাইলের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই শিনাকে খুন করেছে ইন্দ্রানী।

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:২৭
Share: Save:

এ বার টার্গেট তিনি। শিনা হত্যা-কাণ্ডে মুখ খোলার পর বৃহস্পতিবার এমনই চাঞ্চল্যকর কথা বললেন ভাই মিখাইল বোরা। মিখাইলের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই শিনাকে খুন করেছে ইন্দ্রানী। আর সেই তালিকার পরবর্তী নাম রয়েছে তাঁর এবং তাঁর দাদু-দিদিমার। প্রাক্তণ স্বামী সঞ্জীবের সঙ্গে যুগ্মভাবে তাঁদের বাড়ি হাতাতে এই খুনের পরিকল্পনা করেছিল মা ইন্দ্রানী।

শিনা হত্যা-কাণ্ডে মা ইন্দ্রানী গ্রেফতার হওযার পর থেকেই সরব হয়েছেন তিনি। প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে।

মা-মেয়ের সম্পর্কটা আসলে কী ছিল তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেন মিখাইল। তাঁর দাবি, এমন কিছু ছবি রয়েছে তাঁর কাছে, যা রহস্যের কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছে দেবে পুলিশকে। যদিও কী সেই তথ্য, তা বলতে চাননি তিনি। এ দিনও মিখাইল বলেন, ‘‘আমার কাছে মা এবং দিদির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি রয়েছে। যা তদন্তে সাহায্য করবে।’’ পুলিশ তাঁর কাছে এলে তিনি দেবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।

মিখাইল এ দিন জানান, তাঁদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। মা ইন্দ্রানী তাঁদের বাড়ি নিজের নামে করে নিতে চাইছিলেন। তাতে সায় ছিল না তাঁদের। সে কারণেই শিনাকে খুন হতে হয়। এমনকী তিনিও খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন।

শিনার পরিবারের লোকেদের জিঞ্জাসাবাদ করতে এ দিনই গুয়াহাটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশের একটি তদন্তকারী দল। পুলিশের অনুমান, পরিবারের থেকেই উঠে আসতে পারে শিনা খুনের পিছনে অনেক না-জানা তথ্য।

অন্য দিকে, পুলিশ শিনা বোরা হত্যা-কাণ্ড ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০১২ সালের মে মাসে শিনার মৃতদেহ উদ্ধারের পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পেন পুলিশ। এমনকী পুলিশের খাতায় রাখা হয়নি এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যও। পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধারের পরও রায়গড়ের পেন পুলিশের এই আচরণকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

তিন বছর আগেকার সেই তথ্য মুম্বই পুলিশকে তদন্তে অগ্রগতিতে সাহায্য করত। কিন্তু তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও উপযুক্ত তথ্যের অভাবে রহস্যের কিনারা করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে মুম্বই পুলিশকে। এমনকি তদানীন্তন পেন পুলিশ পাতিল মারা গিয়েছেন যিনি এই সংক্রান্ত কিছু তথ্য দিয়ে মুম্বই পুলিশকে সাহায্য করতে পারতেন। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পেন পুলিশের সিনিয়র অফিসারেরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE