Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কার্তিকে নিয়ে চিন্তায় সিবিআই

কার্তি চিদম্বরমের মুখ খোলাতে তামিল তদন্তকারী অফিসারকে কাজে লাগিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁর মুখ খোলানো যায়নি।

কার্তি চিদম্বরম

কার্তি চিদম্বরম

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:২০
Share: Save:

তামিলের মোকাবিলায় তামিল ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। কী ভাবে যে কাজ হবে, সেটাই এখন মাথাব্যথা।

কার্তি চিদম্বরমের মুখ খোলাতে তামিল তদন্তকারী অফিসারকে কাজে লাগিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁর মুখ খোলানো যায়নি। ঘটনাচক্রে কার্তির বিরুদ্ধে মামলায় ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী অফিসার নিজেই তামিল, ডেপুটি পুলিশ সুপার আর পার্থসারথি। সূত্রের খবর, প্রথম দিকে পার্থসারথির
বদলে অন্য উচ্চপদস্থ অফিসারেরা কার্তিকে জেরা করছিলেন। কিন্তু কার্তির মুখ খোলাতে পারেননি। পরিস্থিতি দেখে পার্থসারথিকেই কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নার্কো অ্যানালিসিসের অনুমতি পেতে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই।

২৮ ফেব্রুয়ারি কার্তিকে গ্রেফতারের পর থেকেই সিবিআই অফিসারেরা তাঁকে নিয়ে জেরবার। সিবিআই অফিসারদের দাবি, কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিচ্ছেন না কার্তি। সবেই তাঁর বিরক্তি। সাধারণ প্রশ্ন করলেও উত্তর মিলছে, ‘আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।’ সবথেকে সমস্যা হল, সকাল-বিকেল কার্তি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তা তামিলে। আদালতে হাজির করার সময়ও বাবা-মা, বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে সুযোগ পেলেই তামিলে কথা সেরে নিচ্ছেন। পার্থসারথি চেষ্টা শুরুর পর কার্তি তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন ঠিকই। কিন্তু সে সব নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা। আইএনএক্স কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত কোনও তথ্য তিনি দিচ্ছেন না বলে দাবি সিবিআইয়ের।

কার্তি আদালতে দাবি তুলেছিলেন, তাঁকে বাড়ির খাবার দিতে হবে। অনুমতি না মেলায় তিনি রেস্তরাঁর খাবার খেতে চান সিবিআই অফিসারদের কাছে। সূত্রের দাবি, কার্তিকে সিবিআই ক্যান্টিনের খাবারই দেওয়া হচ্ছে। তবে তা তাঁর ভাল লাগছে না।

শুক্রবারই কার্তির সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে। এর পরে ইডি-র গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ অবশ্য তাঁকে সুরাহা দিতে রাজি হয়নি। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট কার্তিকে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আগামী কাল সেই শুনানি হবে। তবে তাতেও সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা আপত্তি তোলায় কার্তির আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ তোলেন, সরকারি আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টকে রায় লিখিয়ে দিতে চাইছেন। এই মন্তব্যে কড়া আপত্তি তোলেন বিচারপতিরা।

আইএনএক্স কেলেঙ্কারির তদন্তে ইতিমধ্যেই সাংবাদিক বীর সাংভির বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। আইএনএক্স নিউজ-এ ২০০৮-এর জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেছিলেন সাংভি। তার পরে তিনিই চিদম্বরমের কাছে আইএনএক্স-এর অর্থের উৎস নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সাংভিই পিটার-ইন্দ্রাণীকে চিদম্বরমের সঙ্গে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র জোগাড়ের জন্য যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে দিল্লিতে জল্পনা চলছিল। সাংভি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তার আগেই তিনি আইএনএক্স নিউজ ছেড়ে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE