জেরা শেষে বেরিয়ে আসছেন পিটার। ছবি: পিটিআই।
শিনার মৃত্যুর পর তাঁর নাম করে বিদেশ থেকে পাঠানো কিছু ই মেল। আর সেগুলির হাত ধরেই কি রেহাই পেতে চলেছেন প্রাক্তন স্টার কর্তা পিটার মুখোপাধ্যায়? একই কারণে সন্দেহের তালিকা থেকে কি বাদ যাচ্ছে মিখাইল বরার নামও?
২০১২ সালে খুন হন শিনা। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তাঁর মৃত্যুর পরই বাকিদের চোখে তাঁকে ‘বাঁচিয়ে রাখার’ কাজ শুরু করেন ইন্দ্রাণী। তৈরি করেন শিনার একটি ভুয়ো ই-মেল অ্যাকাউন্ট। হটমেলের সেই অ্যাকাউন্ট থেকে পিটার মুখোপাধ্যায় এবং মিখাইল বরাকে দু’টি করে মেল করেন ইন্দ্রাণী। এমনকী তাঁর এবং সঞ্জীব খন্নার মেয়ে বিধিকেও সেই অ্যাকাউন্ট থেকে মেল করেন তিনি। আমেরিকায় শিনা যে কতটা সুখে আছেন, তার উল্লেখ থাকত প্রতিটি মেলে। তদন্তকারীদের দাবি, মেলগুলির প্রত্যেকটাই করা হত বিদেশের কোনও কম্পিউটার থেকে। যাতে কখনও যদি পিটার বা অন্য কেউ সন্দেহ করেন, প্রমাণ হিসাবে বিদেশের আইপি অ্যাড্রেস দেখাতে পারেন তিনি। কিন্তু ওই মেল অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও দিন রাহুলকে মেল করেননি ইন্দ্রাণী।
কেন? তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পরেই শিনার মোবাইল থেকে রাহুলকে মেসেজ করে ইন্দ্রাণী জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না শিনা। এবং তা ইন্দ্রাণী লিখেছিলেন শিনার বয়ানেই। ফলে তাঁকে মেলের আওতা থেকে বাদই রেখেছিলেন ইন্দ্রাণী।
পুলিশের দাবি, মেলগুলি পেয়ে পিটার এবং মিখাইল দু’জনেরই মনে হয়েছিল, আমেরিকাতেই আছেন শিনা। তাই তিনি যে খুন হয়েছেন, সে বিষয়ে অন্ধকারেই ছিলেন দু’জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy