শম্ভুলাল রাইগড়। ছবি- সংগৃহীত।
ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরেই হয়তো খুন করেছেন রাজস্থানের ‘লভ জিহাদ’ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শম্ভুলাল রাইগড়। প্রতিবেশী ও শম্ভুলালের ঘনিষ্ঠদের জেরা করে প্রাথমিক ভাবে এমন ধারণা হয়েছে পুলিশের। তবে যে ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই হত্যাকাণ্ড, তার সঙ্গে কোনও সম্পর্কই ছিল না আফরাজুলের।
শম্ভুলালের বন্ধুরা জানিয়েছেন, একটি হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতেন শম্ভুলাল। এক জন মুসলিমের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। তবে শম্ভুলাল ছাড়া আর যাঁর সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল, তিনি আফরাজুল নন।
শম্ভুলালের পরিবারের লোকজন যেখানে থাকেন, সেই রাজসমন্দের রাইগড় বস্তির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মার্বেলের ব্যবসা ছিল শম্ভুলালের। নোটবন্দির পর কার্যত লাটে ওঠার মতো অবস্থা হয় তাঁর মার্বেলের ব্যবসার। দেনায় ডুবে যান শম্ভুলাল। এর-ওর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকারও বেশি ধার নিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণা : রাষ্ট্রপুঞ্জে একঘরে আমেরিকা
আরও পড়ুন- চিনকে জবাব! ভারত এখন ওয়াসেনার অস্ত্রগোষ্ঠীর সদস্য
শম্ভুলালের বন্ধুরা জানিয়েছেন, ওই সময় জনাকয়েক বাঙালি শ্রমিকের হাতে নিগৃহীতও হন তিনি। ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কারণেই। যে মেয়েটির সঙ্গে প্রেম ছিল শম্ভুলালের, সেই নাবালিকা পশ্চিমবঙ্গে এক জন মুসলিমের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই দলবল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন শম্ভুলাল। সেই সময়েই বাঙালি শ্রমিকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তিনি।
বছর দু’-তিনেক আগে কোনও মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আরও দু’-একটি ঘটেছে রাইগড় বস্তিতে। শম্ভুলালের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই সব ঘটনাই ছাপ ফেলেছিল শম্ভুলালের মনে। ওই সময়েই কিছুটা অস্থিরমতি হয়ে পড়েন শম্ভুলাল। সব সময় ডুবে থাকতেন মদ, গাঁজা আর ইন্টারনেটে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শম্ভুলালের এক বন্ধু জানিয়েছেন, ‘‘ওই সময়ে পাগলের মতো আচরণ করতে দেখেছি শম্ভুলালকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy