জব্বলপুর মেডিক্যাল কলেজের ডিন অরুণ শর্মা। পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
ব্যাপম কাণ্ডে আরও এক জনের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল রবিবার। মৃত ওই ব্যক্তি হলেন জব্বলপুর মেডিক্যাল কলেজের ডিন অরুণ শর্মা। এ দিন সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির এক হোটেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের এক কর্মী দরজায় কড়া নেড়ে সাড়া পাননি অরুণবাবুর। ওই হোটেল কর্মীর অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খুলতেই অরুণবাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর দেহের পাশে মদের প্রায় ফাঁকা বোতল ও বমি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অরুণবাবু প্রচুর মদ পান করেছিলেন। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অরুণবাবু ব্যাপম কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। শনিবারই মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া শহরে মেঘনা নগরে ব্যাপম সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অক্ষয় সিংহ নামে এক সাংবাদিকের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। এ দিন অক্ষয়ের অন্ত্যেষ্ঠিতে যোগদান করেন রাহুল গাঁধী ও অরবিন্দ কেজরীবাল। ব্যাপম কাণ্ডে এই নিয়ে মোট ২৬ জনের মৃত্যু হল বলে সরকারি সূত্রে খবর। ব্যাপম কাণ্ডের সঙ্গে অরুণবাবুর কোনও যোগ আছে কি না তা নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে জানানো হয় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অরুণবাবুই শুধু নয়, ২০১৪- ৪ জুলাইয়ে ওই একই মেডিক্যাল কলেজে ডি কে সাকালে নামে আরও এক জন ডিনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তিনি এই কাণ্ডের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতির বিষয়টি দেখছিলেন।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএম)-এর জব্বলপুর জেলা প্রেসিডেন্ট সুধীর তিওয়ারি অরুণবাবুর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, “তাঁর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তিনি পূর্বতন ডিন ডিকে সাকালের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।” তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুধীরবাবু। পাশাপাশি, তিনি এ-ও দাবি করেন, কিছু দিন আগেই ব্যাপম সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy