শনিবার থেকে তামিলনাড়ুতে শুরু হচ্ছে পোঙ্গল বা নবান্ন উত্সব। কিন্তু এ বারেও হচ্ছে না এই উত্সবের মূল আকর্ষণ ‘জাল্লিকাট্টু’। ২০১৪ সালেই এই ‘জাল্লিকাট্টু’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কেন ‘জাল্লিকাট্টু’কে নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট? জেনে নেওয়া যাক তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী ভয়ঙ্কর এই খেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
তামিলনাড়ুর পোঙ্গল বা নবান্ন উত্সবের অন্যতম আকর্ষণ ‘জাল্লিকাট্টু’। তবে ২০১৪ থেকে এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
০২০৮
বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলাধূলার তালিকায় রয়েছে ‘জাল্লিকাট্টু’র নামও। ছুটন্ত ষাঁড়কে কৌশলে কাবু করাই এই খেলার আসল নিয়ম।
০৩০৮
স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় বা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’-এর মতোই অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘জাল্লিকাট্টু’।
০৪০৮
তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী এই খেলা ‘মাঞ্জু বিরাত্তু’ নামেও পরিচিত। শোনা যায় খেলাটি প্রায় ২৫০০ বছরের প্রাচীন।
০৫০৮
তামিল ভাষায় জাল্লি ও কাট্টুর অর্থ হল ষাঁড়ের শিঙে বাঁধা সোনা ও রুপোর মুদ্রা যা ওই ষাঁড়কে কাবু করার পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার রীতি।
০৬০৮
বিপজ্জনক এই খেলায় অংশগ্রহণ করে ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় ১১০০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জনের।
০৭০৮
বিগত ২০ বছরে ‘জাল্লিকাট্টু’তে অংশগ্রহণ করে দুর্ঘটনায় দু’শোরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
০৮০৮
‘জাল্লিকাট্টু’র বিরোধিতা করে পেটা (PETA) বা ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস’ জানিয়েছে, ‘জাল্লিকাট্টু ষাঁড়ের উপর নির্যাতন করার জন্য নয়, প্রকৃতিকে ধন্যবাদ দেওয়ার উত্সব।