Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

৯০ কোটির বিক্রি নোটবন্দির রাতেই!

নোট বাতিলের রাতে রাতারাতি ৯০ কোটি টাকার গয়না নগদে বেচে দিয়েছিলেন! ১১ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তাঁদের ধারণা, ব্যাঙ্কের টাকা লোপাটের পাশাপাশি নোট বাতিলের ওই পর্বে অন্যের কালো টাকাও সাদা করেছিলেন নীরব মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৬
Share: Save:

নোট বাতিলের রাতে রাতারাতি ৯০ কোটি টাকার গয়না নগদে বেচে দিয়েছিলেন! ১১ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তাঁদের ধারণা, ব্যাঙ্কের টাকা লোপাটের পাশাপাশি নোট বাতিলের ওই পর্বে অন্যের কালো টাকাও সাদা করেছিলেন নীরব মোদী।

এ হেন মানুষটি কি এখন দুবাইয়ে? সেখানে বসেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন!

সরকারি সূত্রের দাবি, পিএনবি প্রতারণায় অভিযুক্ত নীরব দুবাইয়ে আছেন বলে খবর মিলেছে। তাঁর আইনজীবীরা সেখানেই বৈঠক করছেন। অন্য একটি সংবাদমাধ্যম আবার তাঁকে বেলজিয়ামে খুঁজে পেয়েছে। এই অবস্থায় আজ ফের ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের সন্দেহ, নীরব ভারতীয় নাগরিক থেকে অনাবাসী ভারতীয়-র তকমা নিয়েছিলেন। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছে সে খবর ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে, নীরবের সংস্থা এএনএম এন্টারপ্রাইজের অংশীদারদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তে তাঁকে অনাবাসী ভারতীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিকানা— দুবাইয়ের আল শেরা টাওয়ার্সের ২২০২ নম্বর ফ্ল্যাট। এই নথি নভেম্বরের। নীরবের ‘ফায়ারস্টার’ সংস্থার ২০১৬-’১৭র নথিতেও তাঁকে অনাবাসী ভারতীয় বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ, একই সংস্থার ২০১৫-’১৬ র নথিতে তাঁকে ভারতে বসবাসকারী নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ২০ কোটির হিরের গয়না বাজেয়াপ্ত কলকাতায়

নীরব কোথায়, সে অনুসন্ধান চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তকারীরা আরও একটি কাজ করে চলেছেন। নীরব ও মেহুল চোক্সীর থেকে ব্যাঙ্কগুলির যা পাওনা, তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার যতটা সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যে তল্লাশি চলছেই। এ দিন মুম্বইয়ের ওরলিতে নীরবের অ্যাপার্টমেন্ট-সহ দেশজুড়ে ৩৬টি জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। মুম্বইয়ে মেহুলের গীতাঞ্জলি গোষ্ঠীর সাতটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। সোনা-হিরে-নগদ মিলিয়ে মোট ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

থমকে নেই নীরব-মেহুল তদন্তও। এ দিনই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তিন পদস্থ কর্তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এঁরা হলেন, বেচ্চু তিওয়ারি, যশবন্ত জোশী এবং প্রফুল্ল সাবন্ত। পাশাপাশি জেনারেল ম্যানেজার স্তরের অফিসার-সহ ১৩ জনকে জেরা করেছে সিবিআই। পিএনবি-র তরফে সিবিআইকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নীরব ও মেহুলের সংস্থাকে দেওয়া হয়। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ওই বছর প্রায় দেড়শো ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বা ‘লেটার্স অফ আন্ডারটেকিং’ দেওয়া হয়েছিল। পিএনবি একবারে কেন সব তথ্য জানায়নি, তা জানতে চাওয়া হয়। নীরবের সংস্থার চার কর্তাকেও এ দিন জেরা করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সংস্থার সিএফও বিপুল অম্বানী। তিনি অম্বানী পরিবারের আত্মীয় বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE