কেনেথ জাস্টার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যখন প্রথম বার শীর্ষ কূটনৈতিক দৌত্য শুরু করতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার, সেই সন্ধিক্ষণে ভারতের জন্য তাদের নতুন দূত বাছল হোয়াইট হাউস। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘোষণা না করলেও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তা কেনেথ জাস্টারকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হবে নয়াদিল্লিতে।
জাস্টারের মতো এক জন হাইপ্রোফাইল কর্তাকে ভারতে পাঠানোর বিষয়টি আশার চোখেই দেখছে সাউথ ব্লক। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সচিবালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে এখন কর্মরত তিনি। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক দিকগুলি নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন বেশ কিছু দিন ধরে। ট্রাম্প কুর্সিতে বসার পরে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর-সহ যে সব কর্তা ওয়াশিংটন সফর করেছেন, প্রত্যেকের বৈঠকের তালিকাতেই ছিলেন এই জাস্টার। অর্থাৎ তিনি হোমওয়ার্ক করছিলেন বেশ কিছু দিন ধরেই।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনো করা এই আমলাকে নয়াদিল্লিতে পাঠানোর অর্থ, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এমনটা মনে করছেন অনেকেই। কূটনীতিতে একটি সাধারণ তত্ত্ব রয়েছে যে রাষ্ট্রদূতদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। নীতি স্থির করার কাজে তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকে না। রাষ্ট্রদূতরা স্বদেশ থেকে আসা নির্দেশকে শুধুমাত্র বাস্তবায়িত করেন মাত্র। আবার কূটনীতির বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি যে, অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রদূতরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় ভূমিকা নিতে পারেন। বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, দু’টি দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানো, ভাবমূর্তি তৈরি করা — এ সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের গুরুত্ব সব সময়েই রয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন ইনিংসে এখন কেনেথ জাস্টার কী ভূমিকা নেন, সে দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy