Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

স্থানীয় অভিভাবক হচ্ছেন ডিন, ফের পড়া শুরু করছে হাদিয়া

সরাসরি হাদিয়ার মুখ থেকে আজ, সোমবার সেই সব কথা শুনল সুপ্রিম কোর্ট। প্রকাশ্য এজলাসে।

সেই হাদিয়া। ছবি- সংগৃহীত।

সেই হাদিয়া। ছবি- সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:০০
Share: Save:

• হাদিয়াকে ফের পড়াশোনা শুরু করার অনুমতি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তামিলনাড়ুর সালেমে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে বলা হল তাঁকে।

• ডিন অব কলেজ-কে হাদিয়ার স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে নিয়োগ করল আদালত।

• বিকেল পাঁচটা বেজে চব্বিশ মিনিট: এর পরেই এ দিনের মতো শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়। আগামীকাল মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।

• বিকেল পাঁচটা বেজে উনিশ মিনিট: হাদিয়া বলেন, ‘‘বিশ্বাসের প্রতি সৎ থেকে আমি স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।’’

• বিকেল পাঁচটা বেজে উনিশ মিনিট: হাদিয়া বিচারপতিদের বলেন, ‘‘আমি গত ১১ মাস ধরে কার্যত বন্দিদশা কাটাচ্ছি। আমি চাই, আবার আমি কলেজে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করলে স্বামীই সেখানে আমার অভিভাবক হোন।

• বিকেল পাঁচটা বেজে বারো মিনিট: জবাবে হাদিয়া বিচারপতিদের বলেন, ‘‘আমার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ আমার স্বামীই বহন করতে পারবেন। তার জন্য কেন আমি সরকারের টাকা নেব?’’

• বিকেল পাঁচটা বেজে দশ মিনিট: প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র হাদিয়াকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি সরকারের টাকায় আপনার পড়াশোনা চালাতে চান?’’

• বিকেল পাঁচটা বেজে আট মিনিট: বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন হাদিয়াকে, ‘‘তোমার স্বপ্ন কী?’’ জবাবে হাদিয়া বলেন, ‘‘আমি স্বাধীনতা চাই।’’

• বিকেল পাঁচটা বেজে চার মিনিট: এ দিনের বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি খানউইলকর বললেন, ‘‘সাধারণ মামলায় আমরা মহিলার বক্তব্য শুনেই সিদ্ধান্ত নিই।’’

• বিকেল পাঁচটা বেজে এক মিনিট: ‘‘আমি স্বাধীনতা চাই’’, আদালতে বিচারপতিদের বললেন হাদিয়া।

• বিকেল চারটে বেজে বত্রিশ মিনিট: হাদিয়ার বক্তব্য শুনে আর আদালতে জমা দেওয়া এনআইএ’র ১০০ পাতার তদন্ত রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের তিন সদস্যের বেঞ্চ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘হাদিয়ার বিয়ের বিষয়টি থেকে কি তাঁর একটি বিশেষ মতাদর্শে দীক্ষিত হওয়ার বিষয়টিকে আমরা আলাদা করতে পারি?’’

• বিকেল চারটে বেজে একুশ মিনিট: সুপ্রিম কোর্টে ১০০ পাতার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ)। হাদিয়া যে নিজের ইচ্ছাতেই মুসলিম হয়েছেন, সেই বয়ানও রয়েছে এনআইএ’র রিপোর্টে।

• বিকেল তিনটে বেজে বারো মিনিট: শুনানি গোপন কক্ষে হবে নাকি প্রকাশ্য এজলাসে, তা খতিয়ে দেকতে শুরু করলেন বিচারপতিরা।

• বিকেল পৌনে তিনটে: দিল্লির কেরল হাউস থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন হাদিয়া। মামলার শুনানিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য।

• বিকেল তিনটে বেজে চার মিনিট: সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল ‘লভ জিহাদ’ মামলার শুনানি। বেঞ্চে রয়েছেন তিন বিচারপতি। দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এএম খানউইলকর। আগেই এজলাসে এসে গিয়েছিলেন হাদিয়ার স্বামী শাফিন জাহানের দুই আইনজীবী কপিল সিব্বল ও ইন্দিরা জয়সিংহ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হাজির অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল মনিন্দর সিংহ। হাজির হাদিয়ার বাবা অশোকানের আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান এবং মাধবী দিওয়ান।

সত্যিই কি তাঁকে মুসলিম হতে কেউ বাধ্য করেননি?

নিজের ইচ্ছাতেই মুসলিম হয়েছিলেন হাদিয়া?

তাঁর ধর্মান্তকরণ কি ঘটেছিল তাঁর বিয়ের দু’বছর আগেই?

সরাসরি হাদিয়ার মুখ থেকে আজ, সোমবার সেই সব কথা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালতে তাঁর ‘লভ জিহাদ’ মামলার জন্য গত শনিবার কোচি থেকে বিমানে কড়া পুলিশ পাহারায় হাদিয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লিতে। সঙ্গে রয়েছেন হাদিয়ার মা, বাবাও।

যাঁকে ঘিরে ‘লভ জিহাদ’ বিতর্কে আপাতত তোলপাড় কেরল, সেই হাদিয়া অবশ্য গত শনিবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কোচি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমি মুসলিম। নিজের ইচ্ছাতেই মুসলিম হয়েছি। কেউ আমাকে বাধ্য করেননি মুসলিম হতে। আমি স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।’’

গত শুক্রবার হাদিয়ার স্বামী শাফিন জাহান অভিযোগ করেন, হাদিয়াকে এখন চাপ দিয়ে হিন্দু বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। গত বছর শাফিনকে বিয়ে করার সময় হাদিয়ার বয়স ছিল ২৪। নামও ছিল আকিলা অশোকান।

আরও পড়ুন- কট্টরদের বিক্ষোভে জ্বলছে পাকিস্তান, মিডিয়া ব্ল্যাক আউট​

আরও পড়ুন- চুম্বনের ভিডিও: মালিয়া ওবামার পাশে ইভাঙ্কা থেকে চেলসি​

বিয়ের পরেই হাদিয়ার বাবা কেরল হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, জঙ্গিরাই চক্রান্ত করে তাঁর কন্যা আকিলার (এখন হাদিয়া) ধর্মান্তকরণ ঘটিয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এখন তার তদন্ত করছে।

হাদিয়ার বাবার আর্জির ভিত্তিতে কেরল হাইকোর্ট হাদিয়ার বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দেয়। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান হাদিয়ার স্বামী শাফিন। শীর্ষ আদালতে হাদিয়ার স্বামী জানান, বিয়ের দু’বছর আগেই স্বেচ্ছায় মুসলিম হয়েছিলেন হাদিয়া। তাঁকে মুসলিম হতে কেউ বাধ্য করেননি।

হাদিয়ার বাবা চেয়েছিলেন, গোপন কক্ষে হাদিয়ার বক্তব্য শুনুক শীর্ষ আদালত। সেই আর্জি আগে খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE