বৃদ্ধা সাথী বাই। ছবি: ফেসবুক।
একা মানুষ। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হাতেগোনা। তাই কেন্দ্রের পুরনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিন্দুমাত্র কানে পৌঁছয়নি তাঁর। পরে যখন জানতে পারেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। সরকারের দরজায় বার বার কড়া নেড়েও কোনও কাজ হয়নি। সঞ্চিত নগদ ৪ লক্ষ টাকার পুরনো নোট তখন মূল্যহীন হয়ে পড়ে বাজারে। ৭৬ বছরের বৃদ্ধা সাথী বাইয়ের সেই খবর জানুয়ারিতে সংবাধমাধ্যমের নজর কেড়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কেরলের এর্নাকুলাম জেলার ভারাপুঝার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ভারাপুঝার একটি এক চিলতে ঘরে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। ২০ বছর আগে তিনি কেরলের পশু চিকিৎসা বিভাগ থেকে অবসর নেন। স্বামী এবং একমাত্র মেয়ের মৃত্যু পর থেকেই বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ক্রমে ছিন্ন হয়ে পড়ে। খুব প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতেন তিনি। আশেপাশে কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। কারণ, ভয় ছিল অর্থের লোভে প্রতিবেশীরা তাঁকে ঠকাতে পারেন, তাঁর ক্ষতি করতে পারেন। অবসরের পরে যা পেনশন পেতেন তার বেশির ভাগই জমত। তা জমতে জমতেই ওই বৃদ্ধার কাছে নগদ ৪ লক্ষ টাকা জমে যায়। তা ছাড়াও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা ছিল।
আরও পড়ুন: জিমের মধ্যে তরুণীকে লাথি-ঘুষি, ভাইরাল ভিডিও
তাঁর হৃদযন্ত্র এবং কিডনির সমস্যা ছিলই। তার উপরে এতগুলো টাকা বাতিল হয়ে যাওয়ার ঝটকায় তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীরা তাঁকে এর্নাকুলাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই মারা যান তিনি। তাঁর সঞ্চয়ের নগদ ৪ লক্ষ টাকা এখন পুলিশের হেফাজতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy