Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টিতে ধস, ব্রডগেজে বন্ধ ট্রেন

লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো দূরের কথা, এখন এক টানা বৃষ্টিচে ধস নেমে মালগাড়ি চলাচলই বন্ধ হয়ে পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাফলং ও শিলচর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৪৩
Share: Save:

লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো দূরের কথা, এখন এক টানা বৃষ্টিচে ধস নেমে মালগাড়ি চলাচলই বন্ধ হয়ে পড়েছে।

গত কাল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার রণজিৎ সিং ভিরদি ওই রেলপথ পরিদর্শন করেন। নিউ হাফলং-ডিটেকছড়া অংশের কাজ দেখছিলেন। তখনই লাইনের নিচ থেকে মাটি-পাথর সরতে শুরু করে। অবস্থা এমন হয় যে, জেনারেল ম্যানেজার নিজে মাঝপথে একঘণ্টা আটকে পড়েন। পরে কোনও ভাবে শিলচর পৌঁছে তিনি জানিয়ে দেন, বর্ষার মরসুমে ওই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তার জেরে ২০১৫ সালে লামডিং-শিলচর লাইন চালু হবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ভিরদি আগামী ৩০ অগস্ট অবসর নিচ্ছেন। পরবর্তী জেনারেল ম্যানেজার এসে ওই পথ ফের পরিদর্শন করবেন। নানারকম সুপারিশ করতে পারেন। যখন সন্তোষজনক মনে করবেন, তখনই যাত্রী পরিষেবা শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেনারেল ম্যানেজার ভিরদি আজ শিলচর থেকে বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন রেলের আরও পাঁচ অফিসার। কিন্তু বিপদে পড়েন ডিআরএম নীরজ কুমার-সহ লামডিঙের কর্তারা। শেষে দু’দিক থেকে দু’টি ট্রেন নিয়ে আসা হয়। ধসের জায়গা হেঁটে পেরিয়ে তাঁরা অন্য ট্রেনে লামডিঙ যান। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ হাফলং থেকে বান্দরখাল এমনিতেই ধসপ্রবণ এলাকা। বর্ষায় যে কোনও মুহূর্তে সেখানে ধস নেমে রেল চলাচল বন্ধ হতে পারে। গত কাল বান্দরখালে রেলকর্মীরা অনেক কষ্টে জেনারেল ম্যানেজারের ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেন। ওই ট্রেন পেরিয়ে যেতেই সে জায়গায় ফের ধস নামে। জলের স্রোত লাইনের নিচের মাটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে অনেকটা জায়গা জুড়ে রেল লাইন শূন্যে ঝুলছে। সেখানে যে রিটেনশন-ওয়াল ছিল, তাও মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে।

এ ছাড়া, প্রবল বৃষ্টিতে নিউ হাফলং-ডিটেকছড়ার মধ্যে মিয়াংক্রতে লাইনের অনেকটা অংশ বসে গিয়েছে। ধসে পড়া মাটি সরানোর জন্য কাজ করছেন রেলকর্মীরা।

লামডিং ডিভিশনের ডিআরএম নীরজ কুমার এ দিন বলেন, ‘‘নিউ হাফলং-শিলচরের মধ্যে এখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।’’ তিনিও কাজের গুনমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ দিকে, নাগাড়ে বৃষ্টির দরুন মিয়াংক্রতে শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা জলের স্রোতে ভেসে যায়। বান্দরখালের দূরবীণটিলাতে ধস নামায় গত কাল থেকেই বরাক উপত্যকার সঙ্গে ডিমা হাসাও জেলার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Landslide Silchar lamding
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE