ধৃতরা না চাইতেই জামিনের ব্যবস্থা করে দিয়ে লালুপ্রসাদের দুই ‘সেবক’-কে জেল থেকে বিদেয় করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রাঁচী পুলিশ ও বিরসা মুন্ডা জেল কর্তৃপক্ষ। লালুপ্রসাদের সেবা করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজিয়ে জেলে যাওয়া তাঁর দুই অনুগত, মদন যাদব ও লক্ষ্মণ মাহাতোকে জামিন দিয়ে জেল থেকে আজ বের করে দেওয়া হয়েছে।
লালুপ্রসাদের এই দুই অনুগত দলনেতার সেবার জন্যই ছিনতাইয়ের মামলা সাজিয়ে জেলে যাওয়ার পথ সুগম করে নেন। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, যে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা জেলে, তা ঘটেইনি। তবে জামিন দিয়ে জেল থেকে তাঁদের বিদায় করলেও যে ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশে এই মিথ্যা মামলাটি সাজানো হয় সেই সুমিত যাদব-সহ মদন ও লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’-এর মামলা চলবে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদ জেলে যাওয়ার দিনই এই দু’জনও নেতার সেবা করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজিয়ে জেলে যান। এর আগে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরেও একই ভাবে লালুপ্রসাদ জেলে যাওয়ার আগে থেকেই সেখানে হাজির হয়ে যান মদন যাদব। অভিযোগ, যখনই লালুপ্রসাদ জেলে গিয়েছেন তখনই কোনও না কোনও অনুগত জেলে নেতার সেবা করেছেন। গত কাল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্য তিন মামলায় লালুপ্রসাদকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এক বিচারক তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আরজেডি-প্রধান বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কোনও ‘জানকারি’-ই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy