হাসপাতালে জুনেইদের রক্তাক্ত দেহ।— ফাইল চিত্র।
হরিয়ানায় কিশোর জুনেইদ খানকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ফরিদাবাদ পুলিশ। শনিবার মহারাষ্ট্রের ধুলে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২২ জুন ব্যাগে গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এই সন্দেহে চলন্ত ট্রেনে এক দল দুষ্কৃতী ছুরি মেরে খুন করে হরিয়ানার বল্লভগড়ের খান্ডওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা ১৬ বছরের জুনেইদ খানকে। জখম হয় জুনেইদের দুই ভাই। রবিবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
শনিবার জিআরপি-র এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, জুনেইদ খান খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ওই ব্যক্তি ফেরার ছিল। আইনগত কারণের জন্য অভিযুক্তের পরিচয় এই মুহূর্তে গোপন রাখা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে, ওই কিশোরকে ছুরি মেরেছে সে।
আরও পড়ুন: কসাইখানায় মোষ নিয়ে যাওয়ার পথে দিল্লিতে গণপিটুনি ৬ জনকে
এর আগে হরিয়ানা পুলিশ স্বীকার করেছিল, এই মামলায় ভুলবশত অন্য এক জনকে মূল অভিযুক্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছিল। গত সোমবার জুনেইদের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বিষয়ে কেউ কিছু জানালে তাঁকে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণাও করেছিল পুলিশ। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনার দিন জুনেইদ খান এবং তার দু’ভাই দিল্লি থেকে ইদের বাজারের পর ট্রেনে করে হরিয়ানায় ফিরছিল। ট্রেনের মধ্যেই তাঁদের হাতে থাকা ব্যাগে গোমাংস রয়েছে সন্দেহে ওই তিন জনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। জুনেইদকে ভিড়ের মধ্যেই এক জন ছুরি মারে। পরে বল্লভগড় স্টেশনে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় তাদের। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় জুনেইদের।
গো-রক্ষার নামে মারধর বা মানুষ খুনের প্রতিবাদে সম্প্রতি গোটা দেশ সরব হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, গো-রক্ষার নামে মানুষ খুন বরদাস্ত করবেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy