Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সনিয়ার মঞ্চে একসুর মমতা-সীতা

সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে আজ সংসদ ভবনে একজোট হয়েছিল ১৭টি দল। যেখানে সনিয়া, রাহুল, মনমোহন সিংহের পাশাপাশি এক মঞ্চে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব-মায়াবতী।

পাশাপাশি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গাঁধী। নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

পাশাপাশি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গাঁধী। নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ০৩:৫৪
Share: Save:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তির দিনেই পরবর্তী লোকসভা ভোটের বিরোধী মঞ্চের ভিত তৈরি করল ১৭টি দল। আর এর সূত্র ধরে আগামিকালই উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে আক্রান্ত দলিতদের গ্রামে যাবেন রাহুল গাঁধী।

সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে আজ সংসদ ভবনে একজোট হয়েছিল ১৭টি দল। যেখানে সনিয়া, রাহুল, মনমোহন সিংহের পাশাপাশি এক মঞ্চে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব-মায়াবতী। তাঁদের সঙ্গে শরদ পওয়ার, লালু প্রসাদ, কানিমোজি, ওমর আবদুল্লার মতো নেতারা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের থেকেও আজ বেশি আলোচনা হয় মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে। বৈঠক শেষে ১৭টি দল একযোগে বিবৃতি দিয়ে জানায়, এ বার থেকে সংসদেও একজোট হয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতা করা হবে। ২০১৯ সালেও এই জোটকে এগিয়ে নেওয়ার লড়াই জারি থাকবে।

বিরোধী নেতৃত্ব এক সুরে বলেন, মোদী সরকার কৃষক-শ্রমিক-যুবক-মহিলা-সংখ্যালঘু-দলিতদের উপর বোঝা চাপিয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের নাকের ডগায় সহারনপুরে দলিতদের উপর যে ভাবে নির্যাতন হচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সকলে। রাহুল বলেন, ‘‘যখন কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখনই বিভাজন ও দৃষ্টি ঘোরানো হয়।’’

এই সমবেত ভাবনা থেকেই সহারনপুরকে বিরোধী রাজনীতির নতুন রসায়নাগার হিসেবে ধরে নিয়ে কাল থেকেই যাত্রা শুরু করছে বিরোধী পক্ষ। রাহুল কাল সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাহুলের সফর ঠেকাতে যোগী প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু কংগ্রেস রাতে জানিয়েছে, রাহুল সেখানে যাবেনই। যদি পুলিশ গ্রেফতার করে, তাতেও আপত্তি নেই।

এনডিএ-র শরিক না হওয়া সত্ত্বেও আজকের বৈঠকে যোগ দেয়নি বিজেডি, এডিএমকে, টিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিরোধীরা ধরেই নিচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা বিজেপিকেই ভোট দেবে। সেই ভোট হয়ে যাওয়ার পর লোকসভার আগে তাদেরও এই মঞ্চে টানার চেষ্টা হবে। কেজরীবালকেও এই জোটে সামিল করার পক্ষে একাধিক বিরোধী দল।

মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘‘মোদী দেশের জনতাকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন। ভোটই বলে দেবে, জনতা কার সঙ্গে আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE