মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভিন রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে তিনি গিয়েছিলেন আড়াই বছরেরও বেশি আগে। মাঝে সব সময়ই পাঠিয়েছেন দলীয় নেতাদের। এ যাত্রায় জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে সক্রিয় ভাবে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপলক্ষ আগামিকাল এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ। যদিও দীর্ঘদিন পরে এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানে মমতার যোগ দেওয়া মোটেই কর্নাটক রাজনীতির কারণে নয়। তৃণমূল সূত্রের দাবি, আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে মমতা যে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন, আগামিকালের শপথমঞ্চে তারই অংশ হতে চাইছেন তিনি। রাতে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, ‘‘কালকের অনুষ্ঠান বিরোধীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্নাটকের জনতাকে তাঁদের রায়দানের জন্য ধন্যবাদ। আগামিকাল এক নতুন সরকার শপথ নিতে যাচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।’’ শপথের কয়েক ঘণ্টা আগে রাতেই মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন কুমারস্বামী। একে অবশ্য দুই শিবিরই নেহাত সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছে।
শপথ উপলক্ষে মমতা প্রায় পুরো একটা দিন কাটাবেন বেঙ্গালুরুতে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়ক শপথে থাকছেন না। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা হবে না তৃণমূল নেত্রীর। তবে টিআরএস, টিডিপি, আপ, এসপি, বিএসপি নেতাদের সঙ্গে কথা হবে তাঁর। সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও কথা হবে। তৃণমূলের দাবি, সনিয়ার বাড়ি গিয়ে মমতা যে বিজেপি বিরোধিতার সূত্রটি দিয়ে এসেছিলেন, তাতেই সাফল্য আসছে। মমতার বক্তব্য ছিল, যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, তাকে সেই রাজ্যে বেশি আসন ছাড়া হোক। সে দিন তিনি আরও বলেছিলেন যে, “কর্নাটকে কংগ্রেস শক্তিশালী। ওখানে অন্যদের উচিত কংগ্রেসকে সমর্থন করা।”
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, রাহুলের নেতৃত্বে কোনও বিজেপি বিরোধী জোটে যেতে চাইছেন না মমতা। কিন্তু তিনি জানেন, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে বিজেপি-বিরোধী শক্তিশালী কোনও ফ্রন্ট বা সরকার গড়া অবাস্তব। বস্তুত যে কুমারস্বামীর শপথে তিনি যোগ দিতে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন, সেই কুমারস্বামীর বাবা তথা জেডি(এস) প্রধান দেবগৌড়াও এ দিন স্পষ্ট বলেছেন যে, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে বিজেপি-বিরোধী কোনও জোট অসম্ভব। এই অবস্থায় তাই গুলাম নবি আজাদ বা আহমেদ পটেলের মতো কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy