ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির ভোটে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী ঠিক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ বলা হয়েছে, মমতাকে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু সনিয়া নন, রাহুল গাঁধীও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আগামী দশ দিনের মধ্যে মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সনিয়া-রাহুল। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, নরেন্দ্র মোদীর বিচারধারার বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থকে সবার উপরে রেখে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী স্থির করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি উভয় পদেই।
বিরোধীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠলে বিজেডি, এডিএমকে এমনকী বিজেপির শরিক শিবসেনাকেও সেই প্রার্থীকে সমর্থন করার আর্জি জানানো হবে। নিজেদের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সংখ্যার জোর বেশি বিজেপির। তবুও প্রয়োজন বিজেডি, এডিএমকের মতো দলের সমর্থন। এখন সেই অঙ্কও ভেস্তে দেওয়ার ছক কষছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ বলা হয়েছে, সনিয়া গাঁধী ইতিমধ্যেই সীতারাম ইয়েচুরি, নীতীশ কুমার, শরদ যাদব, শরদ পওয়ার, ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টেলিফোনে কথা বলেছেন লালুপ্রসাদ, মুলায়ম সিংহের সঙ্গেও। রাহুল গাঁধীও পওয়ার, ইয়েচুরি, নীতীশদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ফোনে কথা বলেছেন অখিলেশের সঙ্গে। মমতা, মায়াবতী, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও আগামী দশ দিনের মধ্যে দু’জনের বৈঠক হবে।
আরও পড়ুন: আয়কর দফতরের এ বার নিশানায় বেনামি সম্পত্তি
কংগ্রেসের লক্ষ্য, রাষ্ট্রপতির ভোটকে ঘিরে একবার বিরোধী-মঞ্চ তৈরি হলে তা পরের লোকসভা নির্বাচনেও কাজে লাগানো যাবে। ক’দিন আগে ঘনিষ্ঠ মহলে অমিত শাহ জানান, বিজেপি তাদের প্রার্থী স্থির করে প্রথমে শরিকদের সঙ্গে কথা বলবে। পরে বিরোধী দলগুলিকেও সমর্থনের আবেদন জানাবে। কিন্তু বিরোধীরা যদি আগেই প্রার্থী স্থির করে ফেলে, তা হলে ভোটাভুটি ছাড়া রাস্তা খোলা থাকবে না। যদিও কংগ্রেসের মতে, তাদের কাছে সব বিকল্প খোলা। কিন্তু মোদী যে ভাবে কারও সঙ্গে কথা না বলে নিজেই সব সিদ্ধান্ত নেন, রাষ্ট্রপতির প্রার্থী ঠিক করতে বিরোধীদের সমর্থন তিনি চাইবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy