Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪
National News

সকলের চোখের সামনে কুপিয়ে খুন, ছবি তুলতেই ব্যস্ত মানুষ!

অটোরিকশা থেকে টেনে নামিয়ে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১১ বার কুপিয়ে খুন করলেন তাঁরই এক পরিচিত ব্যক্তি। প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কোপানো হচ্ছে, আর পথচলতি মানুষ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দেখছে!

ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করছেন ব্যক্তি (ছবিতে চিহ্নিত)। সংগৃহীত চিত্র।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করছেন ব্যক্তি (ছবিতে চিহ্নিত)। সংগৃহীত চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ১১:৩২
Share: Save:

অটোরিকশা থেকে টেনে নামিয়ে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১১ বার কুপিয়ে খুন করলেন তাঁরই এক পরিচিত ব্যক্তি। প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কোপানো হচ্ছে, আর পথচলতি মানুষ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দেখছে! হামলাকারীকে কেউ আটকানোর চেষ্টা পর্যন্ত করলেন না। উল্টে কেউ কউ আবার গোটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। বৃহস্পতিবার ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা জেলার প্রোদাতুর শহরে।

আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুকূপ’ থেকে অবশেষে দেশের মাটিতে উজমা

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মারুতি রেড্ডি। জাম্মালামাদুগুর দেবগুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা বছর বত্রিশের মারুতি। ওই দিন সকালে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে জেলা আদালতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন সকাল প্রায় সাড়ে ১০টা। তাঁকে অনুসরণ করছিলেন শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং রঘুনাথ নামে তাঁরই পরিচিত দুই ব্যক্তি। আদালত থেকে কিছু দূরে মারুতিকে অটো থেকে টেনে নামিয়ে আচমকাই কোপাতে শুরু করেন শ্রীনিবাস। গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান অটোচালক ও যাত্রীরা। ভয়ে তাঁরা এ দিক ও দিক পালিয়ে যান। প্রথম কোপ মারার পরই একটু নেতিয়ে পড়েন মারুতি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এর পর একের পর এক ১১ বার ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। আর শ্রীনিবাসকে এই কাজে সহযোগিতা করেন রঘুনাথ। রাস্তা ভর্তি লোক, অথচ কেউই এগিয়ে এলেন মারুতিকে বাঁচাতে! প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। সকলের চোখের সামনে মারুতিকে খুন করে দিব্যি সেখান থেকে হেঁটে চলে যান শ্রীনিবাস ও রঘুনাথ। পরে অবশ্য পুলিশের কাছে অভিযুক্তেরা প্রোদাতুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন শ্রীনিবাস ও রঘুনাথ?

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, রাজনৈতিক কারণেই মারুতিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ, কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, এর পিছনে রয়েছে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র। তবে পুলিশের একাংশের দাবি, অবৈধ সম্পর্কজনিত কারণকে ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামলারই ফলশ্রুতি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। কাডাপার পুলিশ সুপার বলেন, “এই হত্যার পিছনে কোনও রাজনীতি, গ্রুপবাজি নেই। হিংসার বশেই খুন করা হয়েছে মারুতিকে। তবে আসল ঘটনাটা কী তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder Andhra Pradesh Kadapa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE