Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরদের হাতে তরুণ খুনে দোষীরা অধরাই

গুরুগ্রামের রায়ান স্কুলের পর এক সপ্তাহ আগেই দিল্লির একটি স্কুলে সহপাঠীর হাতেই নির্যাতিত হয়েছিল বছর চারেকের একটি শিশু।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২৬
Share: Save:

চলন্ত বাসে যুবককে গলায় ছুরি মেরে খুনের ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ। ফলে কার্যতই প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি পুলিশের দক্ষতা নিয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির মথুরা রোড সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত বাসে উঠে এক কুড়ি বছরের তরুণকে গলায় ছুরি মেরে খুন করে এক দল স্কুলের পোশাক পরিহিত কিশোর। খুনের পরে নেমে পালিয়েও যায় তারা। ভয়ে বাধা দেননি অন্যান্য যাত্রীরাও।

একের পর এক নাবালক অপরাধের ঘটনা উঠে আসছে খোদ রাজধানী ও সংলগ্ন শহরগুলি থেকে। গুরুগ্রামের রায়ান স্কুলের পর এক সপ্তাহ আগেই দিল্লির একটি স্কুলে সহপাঠীর হাতেই নির্যাতিত হয়েছিল বছর চারেকের একটি শিশু। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গায়ে নীল-সাদা স্কুলের পোশাক, দিল্লির আশ্রম চক স্টপেজ থেকে চলন্ত বাসে উঠে পড়েছিল চার-পাঁচ জন কিশোর। বয়স তেরো থেকে ষোলোর মধ্যে। বাসে উঠেই হইহুল্লোড় করতে শুরু করে তারা। তত ক্ষণে চুরি হয়ে গিয়েছে অন্য এক সহযাত্রীর মোবাইল। বুঝতে পেরে ওই কিশোরদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি বাধে ওই যুবকের।

সে সময়ে হঠাৎই তাঁর গলায় ছুরি বসিয়ে দেয় এক কিশোর। পিছন থেকে চেপে ধরে আর এক কিশোর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ওই যুবককে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।

বাসচালক ও কনডাক্টর ছাড়াও অন্তত ৪০ জন যাত্রী ছিল বাসটিতে। তবে ভয়ে বাধা দিতে আসেননি কেউই। কনডাক্টর জানান, খুনের পরে বাসচালককে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায় তারা। যে অস্ত্রটি দিয়ে খুন করা হয়েছে, মেলেনি সেটিও। কিশোরদের খুঁজতে লাজপতনগর ও মথুরা রোড সংলগ্ন ১৫টি সরকারি স্কুলের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা আদৌ স্কুল পড়ুয়া নাকি পকেটমারির জন্যই তাদের পাঠানো হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

stab Death Youth Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE