স্বাতী মহাদিক ও নিধি দুবে (বাঁ দিক থেকে)। ছবি :টুইটার।
২০১৫ সাল। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলা তখন গুলি-বারুদের শব্দে ভরপুর। সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়া জঙ্গিদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছিল সেনার। লড়ছিলেন কর্নেল সন্তোষ মহাদিকও। কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে মারা যান তিনি। সেই শহিদ অফিসারের স্ত্রী স্বাতীই আজ সেনা অফিসার। তাঁর পাশাপাশি সেনা অফিসার করা হয়েছে নিধি দুবে নামে আরও এক সেনার স্ত্রীকে। ২০০৯ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন নিধির স্বামী।
তবে ক্ষতিপূরণ হিসাবে সেনা তাঁদের এই চাকরি দেয়নি। অদম্য জেদ আর ১১ মাসের কঠোর পরিশ্রমের পরে দুই সন্তানের মা স্বাতী মহাদিক রবিবার যোগ দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট পদে। শুধুমাত্র বয়সে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ২০১৬ সালে সেনা অফিসার নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন স্বাতী। তাতে পাশ করার পর ১১ মাস কড়া প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোদীর পাশাপাশি কানহাইয়াকেও দরকার
স্বাতী জানান, শুরুটা এত সহজ ছিল না। স্বামী শহিদ হওয়ার প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে বছর খানেক সময় লেগেছিল তাঁর। কিন্তু স্বামীর প্রিয়তম ওই উর্দির কথাটা ভুলতে পারেননি একটি দিনের জন্যও। গত বছরের অক্টোবরে নিজেই নাম লেখান আর্মি অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে। চলতে থাকে প্রশিক্ষণ। ওই দিন চেন্নাইয়ে ছিল ফাইনাল প্যারেড। তার পরেই স্বাতীকে সেনা অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। স্বাতীর পাশেই ছিলেন তাঁর বাবা, শাশুড়ি এবং ১২ আর ৭ বছরের ছেলে-মেয়ে। পুণের আর্মি অর্ডন্যান্স কোরে যোগ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy